StudyWithGenius

HS Bengali Suggestion 2022–আমি দেখি(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)কবিতা প্রশ্ন উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন

HS BENGALI SUGGESTION CHAPTER 7

Hs Bengali Suggestion, Hs Bengali Suggestion 2022, Hs Bengali Suggestion 2022 all, Hs Bengali Suggestion 2022 answers, Hs Bengali Suggestion 2022 bangla, Hs Bengali Suggestion 2022 bengali, Hs Bengali Suggestion 2022 bengali pdf, Hs Bengali Suggestion 2022 board, Hs Bengali Suggestion 2022 class 12, Hs Bengali Suggestion 2022 in bengali, Hs Bengali Suggestion 2022 in west bengal, Hs Bengali Suggestion 2022 question and answer

HS Bengali Suggestion 2022–আমি দেখি(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)কবিতা প্রশ্ন উত্তর

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার অধ্যায় ভিত্তিক (আমি দেখি-শক্তি চট্টোপাধ্যায়) সাজেশন নিম্নে দেওয়া হল। এখানে উল্লিখিত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short,  Descriptive Question and Answer) গুলি দেওয়া হল। এই প্রশ্ন এবং উত্তর  গুলি 2022 সালের উচ্চ মাধ্যমিক  বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তোমরা যারা উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ের জন্য জন্য সাজেশন খুঁজে চলেছো, তারা নিম্নে দেওয়া প্রশ্ন এবং উত্তর গুলি ভালো করে পড়তে পারো।

MCQ প্রশ্নোত্তর [ মান ১ ] HS Bengali Suggestion –আমি দেখি(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)কবিতা প্রশ্নউত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন

CLASS 12 BENGALI MCQ 500+

Welcome to your আমি দেখি—শক্তি চট্টোপাধ্যায়

1. 
‘আমি দেখি' কবিতায় কবি অনেক দিন কোথায় যাননি?

2. 
'...ঐ সবুজের ভীষণ দরকার...'

3. 
‘গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও'...

4. 
‘আমি দেখি' কবিতায় কীসের ‘অনটন ঘটে’?

5. 
‘গাছের সবটুকু...'

6. 
‘আমি দেখি’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত?

7. 
“সবুজের অনটন ঘটে।”–কারণ—

8. 
“গাছগুলো তুলে আনো।”-গাছগুলো তুলে এনে কবি বসাতে বলেছেন—

9. 
হাঁকরে কেবল সবুজ খায়'— কে হাঁ করে সবুজ খায়’?

10. 
শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল কী খায়?

11. 
“আমার দরকার শুধু।”—কবির দরকার হল—

12. 
কবির দেহ চায়-

13. 
শহরের অসুখটা কী?

14. 
কবির চোখ চায়-

15. 
“গাছগুলো তুলে আনো”–গাছগুলো কবি তুলে আনতে বলেছেন?

 

Thank You

 

Join our social networks below and stay updated with latest contests, videos, internships and jobs!
YouTube | LinkedIn | Instagram | Facebook | Pinterest

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর [মান ১]HS Bengali Suggestion –আমি দেখি (কবিতা)প্রশ্ন উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন

1.“গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার।”—কথাটির মধ্য দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
Ans.দূষণের ভয়াবহতা থেকে আরোগ্যের কথাই এখানে বলা হয়েছে |
2.“বহুদিন জঙ্গলে যাই নি।” –জঙ্গলে না যাওয়ার জন্য কবির আক্ষেপ কেন?
Ans.শহরের পরিবেশে সবুজের সমারোহ নেই | তাই সবুজ দেখে কবি চোখের তৃপ্তিসাধন করতে অক্ষম। এই কারণেই জঙ্গলে না যাওয়ার জন্য কবির আক্ষেপ |

3.“আমার দরকার শুধু গাছ দেখা।”—কবির গাছ দেখার দরকার কেন?
Ans.গাছের সবুজটুকু শরীরে ধারণ করে কবি রোগযুক্ত হতে চান। তাই তাঁর সবুজের দরকার |
4.“দেহ চায় সবুজ বাগান”–দেহ সবুজ বাগান চায় কেন?
Ans.নাগরিক পরিবেশে চারিদিকে শুধুই রুক্ষতা আর ধূসরতা। সবুজ বাগান কবির দেহের সজীবতার প্রতীক। তাই তার দেহ সবুজ বাগান চায় |
5.“সবুজের অনটন ঘটে”—কোথায় কী কারণে সবুজের অনটন ঘটে?
Ans.‘আমি দেখি’ কবিতায় ‘শহরের অসুখ’-এর কারণে অর্থাৎ নগরায়পের জন্যই শহরে সবুজের অনটন ঘটে|
6.শহরের অসুখ কী খায়?
Ans.নগরায়ণের ফলে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শহরের অসুখ ‘হাঁ করে কেবল সবুজ’ খাওয়া অর্থাৎ গাছ ধ্বংস করা |
7.“গাছ তুলে আনো।”—কার প্রতি কবির আবেদন?
Ans.সভ্যতাগবী নাগরিক মানুষদের প্রতি কবির এই আবেদন |
8.“চোখ তো সবুজ চায়।”—চোখ সবুজ চায় কেন?
Ans.শহরের পরিবেশে গাছহীন রুক্ষতায় কবির চোেখ সবুজ দেখার নেশায় তৃস্নার্ত। তাই সবুজ দেখে তিনি দৃষ্টির প্রশান্তি ফিরে পেতে চান |
9.‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি গাহুগুলো তুলে এনে কোথায় বসাতে বলেছেন?
Ans.গাছ তুলে এনে কবি বাগানে বসাতে বলেছেন।
10.“ওই সবুজের ভীষণ দরকার।”—‘ওই সবুজ’ বলতে কোন্ সবুজের কথা বলা হয়েছে?
Ans.‘ওই সবুজ’ বলতে কবি গাছের সবুজের কথা বলেছেন |
11.‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির চোখ ও দেহ কী কামনা করেছে?
Ans.কবির চোখ সবুজ কামনা’ করে এবং কবির দেহ কামনা করে সবুজ বাগানের সান্নিধ্য।
12.“তাই বলি” – কবি কী বলেন?
Ans. কবি গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেন।
13.“বহুদিন শহরেই আছি” দীর্ঘদিন শহরে থাকায় কবির মনে কীসের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে?
Ans.কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় শহর জীবনে অভ্যস্ত হলেও তাঁর সচেতন মন এ কথা জানে যে, সুস্থ রোগমুক্ত পরিবেশ ও জীবন লাভের জন্য সবুজের প্রয়োজন সর্বাধিক। তাই কবি দীর্ঘদিন সময়ের অভাবে সবুজের সান্নিধ্যলাভ করতে পারেননি বলে তার মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
14.“গাছগুলো তুলে আনো”– কোথা থেকে কবি গাছ তুলে আনতে বলছেন?
Ans.স্বাধীনতা উত্তর আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় লক্ষ করেছেন মহানগরী তথা শহরের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির সবুজ সম্পদ স্থান করে নিচ্ছে শহরের বিভিন্ন অবহেলিত প্রান্তদেশে ও পথপ্রান্তে। তাই কবি সেই পরিত্যক্ত স্থানগুলি থেকে গাছগুলিকে তুলে আনতে বলেছেন।
15.রোগের জন্য শরীরে সবুজের দরকার কেন?
Ans.অরণ্য পরিবেশদূষণ রোধ করে, আমাদের বাঁচার জন্য অক্সিজেন তৈরি করে। আবার, জীবজগতের খাদ্যশক্তির সিংহভাগের জোগান দেয় অরণ্য। ফলে মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য সবুজ অর্থাৎ গাছ অত্যন্ত জরুরি।
16.“বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন।”—কবির দীর্ঘদিন জঙ্গল থেকে দূরে থাকার কারণ কী?
Ans.কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় নাগরিক জীবনের কবি। সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে সবুজ প্রকৃতির পরিমাণ ক্রমহ্রাসমান হয়ে পড়ায় ও প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার কারণে দীর্ঘদিন তাঁর পক্ষে জঙ্গলে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় তিনি দীর্ঘকাল জঙ্গল থেকে দূরে আছেন।
17.শহরের প্রধান অসুখ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
Ans.নগরসভ্যতার উন্নতির অর্থই হল সবুজ নিধন কর্মযজ্ঞ। বাসস্থান ও হাটবাজারসহ আধুনিক জীবনোপযোগী ব্যবস্থা কায়েম করতে অরণ্য ধ্বংস করা হয়েছে, এইভাবে সবুজ সম্পদ গ্রাস করার প্রবণতাকেই কবি শহরের প্রধান অসুখ বলে মনে করেছেন।
18.“চোখ তো সবুজ চায়”- ‘—এ কথার মানে কী?
Ans.জীবনের মৌলিক প্রয়োজন অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের চাহিদা মেটানো ছাড়াও অরণ্য আমাদের দৃষ্টি সুখেরও সহায়ক। অপার অপরিমেয় সৌন্দর্য দেখার কৌতূহল মানুষের, বৃক্ষরাজিই পারে সে সৌন্দর্যস্না নিবারণ করতে।
19.“গাছ আনো, বাগানে বসাও।”– জোর দিয়ে এ কথা বলার কারণ কী?
Ans.অরণ্যের সঙ্গে মানুষের আত্মীয়তার সম্পর্ক চিরস্তন, উপনিষদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা যায়—“বৃক্ষ ইব স্তন্ধো দিবি তিষ্ঠত্যেবঃ”। দেশের বুকে জনসংখ্যার চাপ, নগরসভ্যতার উন্মেষের কারণে মানুষ যখন অরণ্য হননের খেলায় মত্ত তখন সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য গােছ লাগানো দরকার বলেই কবির এই সুগভীর প্রজ্ঞাসমন্বিত উক্তির অবতারণা।
20.কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘আমি দেখি’ বলতে কী দেখতে চান ?
Ans.বর্তমান পৃথিবীতে মাত্র ২৭ ভাগ অরণ্যভূমি টিকে আছে, এ দেশে তার শতকরা হার আরও কম। মানবসভ্যতার প্রাণের স্পন্দনের বহু আগেই অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অরণ্যের উপকারিতা সম্বন্ধে কবি নিঃসন্দেহ বলেই প্রাণভরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি প্রত্যক্ষ করতে চান।
21.গাছ লাগানোর দরকারই বা কী?
Ans.বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে গাছ আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসে সাহায্য করে, ভূমিক্ষয় রোধ করে, বন্যা নিবারণ করে, অরণ্যসম্পদ সৃষ্টি করে মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে সুখকর করে তোলে। মৃত্তিকার উর্বরাশক্তি বাড়িয়ে তোলা, ভেষজ ওষুধের জোগান দেওয়া, জ্বালানির সমস্যা মেটানো, আসবাবপত্র তৈরিসহ নিত্যনতুন চাহিদা মেটাতে গাছ দরকার, সে কারণেই গাছ লাগানো প্রয়োজন বলে কবি মনে করেন।
22.“আমার দরকার শুধু গাছ দেখা / গাছ দেখে যাওয়া।” —‘গাছ দেখে যাওয়া’ কথাটির অর্থ কী?
Ans.সবুজ উদ্ভিদ পরিবেশ তথা জীবজগতের যাবতীয় ক্ষতিপূরণ করে পরিবেশকে পরিশুদ্ধ করে। কবি তাই বলেছেন তিনি শুধু গাছ অর্থাৎ সবুজ দেখে যেতে চান, যাতে সবুজের সান্নিধ্যে তাঁর শরীর ও মনের সকল কলঙ্ক দূরীভূত হয়।

রচনাধর্মী বড়ো প্রশ্নোত্তর [মান ৫] HS Bengali Suggestion–আমি দেখি (কবিতা)প্রশ্নউত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন

1.”..ঐ সবুজের ভীষণ দরকার”–‘ঐ সবুজ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তার দরকার কেন? 

Ans.  সবুজ প্রকৃতি মানুষের রোগমুক্ত জীবনযাপনের প্রধান সহায়ক। গাছের সবুজ অংশে সঞিত ক্লোরোফিলের সহায়তায় উদ্ভিদ সূর্যালোকের উপস্থিতিতে যে শর্করাজাতীয় খাদ্য তৈরি করে, মানুষ তথা সমগ্র প্রাণীকুল তা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গ্রহণ করে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। আবার, সবুজ উদ্ভিদ মানুষকে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের উপযোগী অক্সিজেন সরবরাহ করে। শহরের কলুষিত পরিবেশে দূষণজনিত কারণে যে রোগ-ভোগের প্রসার ঘটে চলেছে তা থেকে মুক্তিলাভের জন্য গাছের ওই সবুজ অংশই দরকার। ‘ঐ সবুজ’ বলতে কবি তাই নিঃসন্দেহে গাছের সবুজ অংশকেই চিহ্নিত করেছেন।

মানবজীবনে সুস্থতার জন্য, বেঁচে থাকার প্রয়োজনে অরণ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই ভূমিকা বহুবিধ—

প্রথমত, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে অক্সিজেনের জোগান দেয় গাছ, বায়ুমণ্ডল হয়ে ওঠে মানুষের শ্বাসগ্রহণের উপযোগী। দ্বিতীয়ত, গাছ তার শিকড় দিয়ে মাটি আঁকড়ে ধরে রেখে ভূমিক্ষয় প্রতিহত করে ও বন্যার করাল গ্রাস থেকে মানুষকে বাঁচায়। তৃতীয়ত, জীবজগতের খাদ্যের প্রধান জোগানদাতা হল গাছ। চতুর্থত, গাছের অন্তর্নিহিত সঞ্চিত শক্তি যেমন—কাঠ, কয়লা, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনের চাহিদা মেটায়। পঞ্চমত, আরোগ্যের জন্য মানব জীবনের সমস্ত ওষুধ প্রাচীনকাল থেকে গাছই সরবরাহ করে আসছে। ভেষজ অর্থাৎ কবিরাজি চিকিৎসা পদ্ধতি পুরোপুরি অরণ্যকেন্দ্রিক। ষষ্ঠত, অরণ্য ধ্বংসের ফলে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের (O3) ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় সূর্য থেকে অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের গায়ে সরাসরি এসে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বহুবিধ চর্মরোগ ছাড়াও ক্যানসারের মতো মারণব্যাধি দেখা দিতে পারে।

অর্থাৎ, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে প্রকৃতির বুকে সবুজের আবরণ তথা আভরণ গড়ে তুলতে হবে। কবি সেই প্রত্যয়ভূমি থেকে মানুষের মঙ্গলের জন্য সবুজকে আহ্বান করেছেন—

                                                                             “গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার

                                                                     আরোগ্যের জন্যে ওই সবুজের ভীষণ দরকার ”

2.“শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় সবুজের অনটন ঘটে…”–‘শহরের অসুখ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? সবুজের অনটন কীভাবে ঘটে?

Ans.  নগরসভ্যতার পত্তনের অর্থই সবুজকে ধ্বংস করা। সর্বোপরি, আধুনিক নগরজীবন যন্ত্রযুগের উদগ্র লালসায় সবুজ ধ্বংসের হোলি খেলার মত্ত। ফলে একদিন যেখানে পৃথিবীর মোট ভূভাগের পঞ্চাশ শতাংশ অরণ্য ছিল বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে মাত্র পঁয়ত্রিশ শতাংশে। দৈনন্দিন কাজকর্মে, কারখানার শ্রীবৃদ্ধিতেও অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে। উন্নততর সভ্যতা বিকশিত হয় নগরকে কেন্দ্র করে, বর্তমান আণবিক যুগের প্রভাবও সেখানে বিদ্যমান। নতুন নতুন অট্টালিকা, রাস্তাঘাট, শপিংমল প্রভৃতি তৈরি করার জন্য কার্যত সবুজ ধ্বংস হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এর ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় যা পরিবেশে অক্সিজেনের মাত্রাকে কমিয়ে দিচ্ছে, এমনকি প্রতিদিন বাড়ছে গ্রিনহাউস দূষণ। তা ছাড়া জলদূষণ, বায়ুদূষণ, আলোদূষণ, মৃত্তিকা দূষণ, সর্বোপরি অস্বাভাবিক জনসংখ্যা বৃদ্ধিও সবুজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ রূপে দেখা দিচ্ছে। শহরজীবনের গতিকে ত্বরান্বিত করতে অরণ্য ধ্বংস করা হচ্ছে নির্বিচারে। কবির দৃষ্টিতে নগরায়ণ হল একটা অসুখের মতো যা কেবলমাত্র অরণ্যকে ধ্বংস করে সবুজকে গিলে ফেলতে চায়।

ভারতের মতো দেশে বৃহৎ বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১/৬ শতাংশ। অথচ মোট রাজস্বের প্রায় ৬০০ কোটি আসে বনজ সম্পদ থেকে। এ দেশের জ্বালানির ৬০ শতাংশ বনজসম্পদ কেন্দ্রিক, অথচ তাকেই নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। অন্যদিকে পরোক্ষে এ দেশে যত না বনসৃজন ঘটে তার চেয়ে অনেক বেশি বন নষ্ট করা হয়। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। অরণ্য যে মানুষের পরম বন্ধু এ ভাবনা বিনষ্ট হয়ে পড়ছে। শহরের জন্য যুগোপযোগী পরিবেশ রচনা করার তাগিদেই সবুজের অভাব ঘটতেই থাকবে যা আধুনিক সভ্যতাকে বেপথু করে তুলবে।

3.‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মানুষ ও প্রকৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক সম্বন্ধে যে আলোচনা করেছেন তা লিপিবদ্ধ করো।

Ans. প্রকৃতি নিরন্তর যাদের হৃদয়ে দোলা লাগিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়। কেউ প্রেমিক হৃদয় নিয়ে প্রকৃতির রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধে অবগাহন করেছেন, আবার কেউ-বা বৈজ্ঞানিক চেতনা যোগে প্রকৃতি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করেছেন। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে এই দুই শ্রেণিরই বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। ‘আমি দেখি’ কবিতায় বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে কবি মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির প্রাণের সম্পর্ক রচনা করতে চেয়েছেন। কবি তাঁর জীবনের এক দীর্ঘ সময় প্রকৃতির কোল থেকে দূরে শহরের ইট-কাঠ-পাথরের রুক্ষ-কঠোর পরিবেশের মাঝে অবস্থান করেছেন বলে অনুভব করেছেন সুস্থ জীবন লাভের জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সবুজের সমারোহ। তাই কবি শহরের প্রান্তদেশে কিংবা পথপ্রান্তে পড়ে থাকা অবহেলিত গাছগুলোকে পরম যত্নে তুলে আনতে বলেছেন

                                                                           “গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও

                                                                             আমার দরকার শুধু গাছ দেখা”

কবি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে জানিয়েছেন গাছের সবুজ অংশ মানবশরীরে আরোগ্যের জন্য প্রভূত মাত্রায় প্রয়োজন। কারণ, অরণ্যজননীই পারে শহরের বুক থেকে দূষণের কলঙ্ক গ্রাস করে নিয়ে সুস্থ-বিশুদ্ধ পরিবেশ সৃজন করতে। অর্থাৎ, মানবজীবন বহুলাংশেই সবুজ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। এই কারণেই কবি আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন—

                                                                             “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন

                                                                              বহুদিন জঙ্গলে যাইনি”

নগর পত্তনের জন্য সবুজ ধ্বংস করায় প্রকৃতিতে সবুজের অনটন ঘটছে। তাই সভ্যতার সংকট দূর করার জন্য কবি আহ্বান জানিয়েছেন—

                                                                              “গাছ আনো, বাগানে বসাও।”

কবির ক্লান্ত দেহমন শুধু সবুজ রং আর সবুজ প্রকৃতি চায়। সবুজ ব্যতীত কবির জীবন বিবর্ণ। তাই কবি সর্বান্তকরণে প্রার্থনা করেছেন, সবুজের সমারোহে চতুপ্রান্ত ভরে উঠুক।

4.“আমার দরকার শুধু গাছ দেখা/গাছ দেখে যাওয়া” –কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘শুধু’ শব্দটি কেন ব্যবহার করেছেন? কবি অনন্তকাল ধরে কেবল গাছই দেখে যেতে চান কেন?

Ans. আধুনিকতার প্রলেপ সারা গায়ে মেখেও কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর হৃদয় থেকে প্রকৃতির প্রতি অমোঘ প্রেমকে বিতাড়িত করতে পারেননি। তাই প্রকৃতির প্রতি প্রগাঢ় প্রেমের বশবর্তী হয়ে শহরের কবি শহরের ক্লেদাক্ত পরিবেশে সবুজের অভিযানের আকাঙ্ক্ষায় অপেক্ষমান। শহরের যাবতীয় সুখস্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করা সত্ত্বেও তিনি মানবজীবনে সবুজ প্রকৃতির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে হতজ্ঞান হননি। দূষণমুক্ত, পরিশ্রুত জল-বায়ুর কামনায় কবি তাঁর পরিপার্শ্বে সবুজের সুনিবিড় স্পর্শ কামনা করেছেন। আর সবুজের স্পর্শ লাভের কবির এই সুতীব্র আর্তি প্রকাশের জন্যই ‘শুধু’ শব্দটির অবতারণা করা হয়েছে।

মানবসভ্যতা আজ উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হলেও নগরজীবনের মেকি ঔজ্জ্বল্য কবিমনে প্রতিনিয়ত শূন্যতা সৃষ্টি করে চলেছে। তা ছাড়া কবি প্রত্যক্ষ করেছেন আধুনিক জীবনের চাহিদা মেটাতে এবং ব্যাবসায়িক স্বার্থে নির্বিচারে অরণ্য নিধনযজ্ঞ কার্যকরী রয়েছে। আর তাই—

                                                                “শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়

                                                                 সবুজের অনটন ঘটে

অরণ্যপ্রেমী কবি তাই সমগ্র শহরবাসীর পক্ষ থেকেই শহরের এই ভীষণ অসুখের আরোগ্য লাভের কামনা করেন। কবি যখন বলেন ‘আমার দরকার’ তখন তা অচিরেই ব্যষ্টি থেকে সমষ্টির মনোবাসনায় পরিণত হয়। কবি জানেন কবিসহ সমগ্র শহরবাসীর শরীর-মনের যাবতীয় ব্যাধিমুক্তির একমাত্র পথ হল বৃক্ষরোপণ। সবুজের অভাবজনিত রোগ থেকে মুক্তির জন্যই কবি একটানা গাছ দেখে যাওয়ার কথা বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে, কবির এই অনন্তকাল যাবৎ গাছ দেখে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করার অর্থই হল গাছ লাগানোর যাচজ্ঞা প্রকাশ— “গাছ আনো, বাগানে বসাও”—যা কবিতার অন্তিম চরণ পর্যন্ত ধ্বনিত হয়েছে।

5.’আমি দেখি’ কবিতায় কবি শন্তি চট্টোপাধ্যায়ের পরিবেশসচেতনতা কতখানি ধরা পড়েছে তা কবিতাটি অবলম্বনে লেখো।

অথবা, “গাছ আনো, বাগানে বসাও,/আমি দেখি।” গাছের প্রতি কবির এই আগ্ৰহ কী নিতান্ত শৌখিন নাকি কবির এই বক্তব্য তার পরিবেশসচেতন মনেরই প্রতিফলন তা ব্যাখ্যা করো।

Ans. কোটি কোটি বছর আগে যে সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছিল তার প্রধান ভিত্তি ছিল বৃক্ষ। ক্রমে মানবজাতির আগমন এবং তার যতই উন্নতি হয়েছে ততই বৃক্ষ পদদলিত হয়েছে, বিনষ্ট হয়েছে। আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের মতে নাগরিক জীবনে অভ্যস্ত মানুষ আপন স্বার্থে প্রকৃতির সঙ্গে নিজের সবুজ সম্পর্ককে ছিন্ন করেছে। কবি নিজে সেই শহুরে জীবনের প্রতিভূ হিসেবে অনুভব করেছেন দীর্ঘদিন তিনি সবুজের থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন

                                                                                  “বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন

                                                                                   বহুদিন জঙ্গলে যাইনি”

তাই ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’-কে কবি মানবজীবনের মূলমন্ত্র রূপে স্বীকার করে নিয়েই আমি দেখি’ কবিতায় বৃক্ষরোপণের সুপরামর্শ দিয়েছেন।

বিংশ শতাব্দীর আধুনিক মনস্ক কবি হলেও তিনি জানেন অরণ্য ছাড়া মানবজীবন বৃথা। বৈদিক যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান কালাবধি মানুষের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের প্রাথমিক চাহিদা থেকে শুরু করে মানুষের প্রাণধারণের উপযোগী শ্বাসবায়ু—সবই বৃক্ষের দান। কর্মব্যস্ত শহুরে জীবনে ঘটে যাওয়া ‘সবুজের অনটন’-কে তাই অবিলম্বে রুখতে হবে, নতুবা মানবজীবনে শুদ্ধতার আশ্বাস ফিরে আসা সম্ভব নয়। কবি স্পষ্টতই জানিয়েছেন—

                                                                             “গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার

                                                                      আরোগ্যের জন্যে ঐ সবুজের ভীষণ দরকার”

HS Bengali Suggestion 2022–আমি দেখি(শক্তি চট্টোপাধ্যায়)কবিতা প্রশ্ন উত্তর

“HS Bengali Suggestion 2022 –আমি দেখি (শক্তি চট্টোপাধ্যায়) কবিতা প্রশ্ন উত্তর” একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক উচ্চমাধ্যমিক বাংলা (Hs Bengali Suggestion / Hs Bengali Suggestion 2022 / Hs Bengali Suggestion 2022 all / Hs Bengali Suggestion 2022 answers / Hs Bengali Suggestion 2022 bangla / Hs Bengali Suggestion 2022 bengali / Hs Bengali Suggestion 2022 bengali pdf / Hs Bengali Suggestion 2022 board / Hs Bengali Suggestion 2022 class 12 / Hs Bengali Suggestion 2022 in bengali / Hs Bengali Suggestion 2022 in west bengal / Hs Bengali Suggestion 2022 question and answer ) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Studywithgenius.in  এর পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক  বাংলা  পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন  প্রদানের প্রচেষ্টা করা হলাে।

ছাত্রছাত্রী এবং পরীক্ষার্থীদের উপকারের জন্য, আমাদের প্রয়াস  উচ্চ মাধ্যমিক  বাংলা পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন (Hs Bengali Suggestion / Hs Bengali Suggestion 2022 / Hs Bengali Suggestion 2022 all / Hs Bengali Suggestion 2022 answers / Hs Bengali Suggestion 2022 bangla / Hs Bengali Suggestion 2022 bengali / Hs Bengali Suggestion 2022 bengali pdf / Hs Bengali Suggestion 2022 board / Hs Bengali Suggestion 2022 class 12 / Hs Bengali Suggestion 2022 in bengali / Hs Bengali Suggestion 2022 in west bengal / Hs Bengali Suggestion 2022 question and answer ) সফল হবে।
© StudywithGenius.in

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের Studywithgenius.in ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। সমস্ত বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

X