StudyWithGenius

Class 9 Model Activity Task Part 8 November New 2021 | Combined Model Activity Task | নবম শ্রেণী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক | Bengali, English, History, Geography

Class 9 Model Activity Task Part 8 November New 2021 | Combined Model Activity Task

class 9 model activity task part 8 answer, class 89 model activity task part 8 bengali, class 9 model activity task november, class 9 model activity task part 8 chemistry, class 9 model activity task part 8 download, class 9 model activity task part 8 english, class 9 model activity task part 8 exercise, class 9 model activity task part 8 full, class 9 model activity task part 8 geography, class 9 model activity task part 8 mathematics, class 9 model activity task part 8 maths, class 9 model activity task part 8 notes, class 9 model activity task part 8 of science, class 9 model activity task part 8 online, class 9 model activity task part 8 question answer, class 9 model activity task part 8 solution, class 9 model activity task part 8 wbbse, class 9 model activity task part 8 west bengal board, class 9 model activity task part 8 with answers, class 9 combined model activity task answer, class 98 combined model activity task bengali, class 9 combined model activity task download, class 9 combined model activity task english, class 9 combined model activity task full, class 9 combined model activity task geography, class 9 combined model activity task mathematics, class 9 combined model activity task maths, class 9 combined model activity task science, class 9 combined model activity task online, class 9 combined model activity task

Class 9 Model Activity Task Part 8 November / Class 9 Combined Model Activity Task হল ২০২১ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত তোমাদের যে সমস্ত Model Activity Task দেওয়া হয়েছিল সেখান থেকে বাছাই করা Important কিছু প্রশ্ন ।

এখানে আমরা Class 9 Model Activity Task Part 8 November / Class 9 Combined Model Activity Task এর সমস্ত প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে চলে এসেছি । ২০২১ সালের এটাই সর্বশেষ Model Activity Task। এই অ্যাক্টিভিটি টাস্কে 50 নম্বরের প্রশ্ন দেওয়া রয়েছে যেগুলো তোমাদের সমাধান করে বিদ্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে । এখানে দেওয়া প্রশ্ন গুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এর উপর ভিত্তি করেই সম্ভবত তোমরা পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হবে । সুতরাং, খুবই মন দিয়ে তোমরা নিচের প্রশ্নোত্তর গুলি লিখবে ।

class 9 model activity task part 8
SWG Academy

Class 9 Model Activity Task Bengali Part 8 November

Class 9 Combined Model Activity Task

বাংলা (প্রথম ভাষা)

নবম শ্রেণি

১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : 

১.১ ঈশান হলাে—

ক) উত্তর-পূর্বকোণ 

খ) উত্তর-পশ্চিম কোণ 

গ) দক্ষিণ-পূর্ব কোণ

ঘ) পশ্চিম কোণ 

উত্তর: ক) উত্তর-পূর্বকোণ

১.২ ‘আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?’ – প্রশ্নটি করেছে

ক) সূচক 

খ) জানুক 

খ) ধীবর

ঘ) রাজশ্যালক 

উত্তর: খ) ধীবর

১.৩ ‘বন্ধুগণ হাসবেন না।’ – একথা বলেছে

ক) ইলিয়াস 

খ) শাম-শেমাগি 

গ) মহম্মদ শা

ঘ) মহম্মদ শার জনৈক আত্মীয় 

উত্তর: উ: ইলিয়াস

১.৪ ‘মাস্টারমশাইয়ের কাছ থেকে এইটুকুই আমার নগদ লাভ। বক্তার লাভ হয়েছিল

ক) পাঁচ টাকা 

খ) দশ টাকা 

গ) পনেরাে টাকা

ঘ) কুড়ি টাকা 

উত্তর: খ) দশ টাকা

১.৫ ‘নােঙর’ কবিতাটি যে কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত –

ক) কুসুমের মাস 

খ) শাদা মেঘ কালাে পাহাড়

গ) পাতাল কন্যা

ঘ) ছায়ার আলপনা 

উত্তর: খ) শাদা মেঘ কালাে পাহাড়

২. কম-বেশি ১৫টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে :

২.১ … প্রজা চমকিত।’ – প্ৰজা চমকিত কেন? 

উত্তর: উদ্ধৃতাংশটি কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি থেকে সংগৃহীত হয়েছে। যেটি চন্ডীমঙ্গল কাব্য গ্রন্থের আখেটিক খন্ড এর অন্তর্গত।

     প্রজারা চমকিত কারণ কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি বজ্রপাতের ফলে এক দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। ঝড়ের দাপটে মাঠের শস্য উপরে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। তা দেখে প্রজারা চমকৃত হয়েছিল।

২.২ ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের বাড়ি কোথায়? 

উত্তর: মহাকবি কালিদাসের রচিত সংস্কৃত নাটক অভিজ্ঞানম শকুন্তলম থেকে আলোচ্য ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ টি সংগৃহীত হয়েছে।

      ধীবর সক্রাবতারে থাকে অর্থাৎ সক্রাবতারে তার বাড়ি।

২.৩ ‘ইলিয়াস তাে ভাগ্যবান পুরুষ’– কারা একথা বলত?

উত্তর: উদ্ধৃত বাক্যটি লিও টলস্টয় -এর লেখা ইলিয়াস নামক গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। ইলিয়াসকে ভাগ্যবান বলতো ইলিয়াসের প্রতিবেশীরা।

২.৪ ‘মনে এল মাস্টারমশাইয়ের কথা। – কখন এমনটি ঘটেছে? 

উত্তর: উদ্ধৃত অংশটি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম গল্প থেকে সংগৃহীত হয়েছে। কথকের মনে মাস্টারমশাইয়ের কথা এসেছিল যখন একটি পত্রিকার পক্ষ থেকে ছেলেবেলার গল্প লেখার ফরমাস এসেছিল।

২.৫ … বিরামহীন এই দাঁড় টানা।’ – কবি দাঁড় টানাকে ‘বিরামহীন’ বলেছেন কেন? 

উত্তর: আলোচ্য অংশটি মিতভাষী কবি অজিত দত্তের লেখা সাদা মেঘ কালো পাহাড় কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত নম্বর কবিতা থেকে সংগৃহীত হয়েছে।

     কবি বিরামহীন দাঁড় টেনে নৌকাটিকে উদ্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ে যেতে চান। তটের কিনারে নোঙরের কাছিতে বাঁধা পড়েছে নৌকাটি। দূর দেশে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছে ব্যাকুল কবির মন মানতে চায়না। অসংখ্য বন্ধনময় অবস্থাকে অতিক্রম করে কবির ভাবনা অজানা লোকে পৌঁছতে চায়। তাই বৃথা প্রচেষ্টা জেনেও তিনি অবিরাম দার টেনে  চলেছেন।

২.৬ ‘হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছেন’ – কোন্ চেষ্টার কথা প্রাবন্ধিক বলেছেন? 

উত্তর: সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে উদ্ধৃতাংশ টি গৃহীত। ভাষা নিজস্বতা হল আত্মনির্ভরশীল থাকা। কিন্তু লেখক দেখেছে ভাষার মধ্যে বিভিন্ন বিভিন্ন ভাষার প্রবেশ অব্যাহত। সেই প্রবেশ বন্ধ করার বিষয়ে হিন্দি সাহিত্যিকদের চেষ্টার কথা প্রবন্ধিক বলেছেন।

২.৭ এরই মাঝে বাংলার প্রাণ’ – কবি কোথায় বাংলার প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন? 

উত্তর: ‘আকাশে সাতটি তারা’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ-নরম ধানের গন্ধ, কলমি শাকের ঘ্রাণ, হাঁসের পালক, শহরের বন, চাঁদা সরপুঁটি মাছ এদের মৃদু আঁশটে ঘ্রাণ, কিশোরের পায়ে গলার মুথা ঘাস, লাল বট ফলের ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতা-এই সমস্ত কিছুর মাঝেই বাংলা প্রাণের সন্ধান পেয়েছেন।

২.৮ এখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে’ – পত্রলেখকের দৃঢ় বিশ্বাসটি কী? 

উত্তর: স্বামী বিবেকানন্দের গৃহ বিশ্বাস হয়েছে যে, ভারতের কাজে মিস নোবেল এর এক বিরাট ভবিষ্যৎ রয়েছে।

২.৯ ‘যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাঁড়া’ – সেখানে গিয়ে দাঁড়ালে কোন্ দৃশ্য দেখা যাবে?

উত্তর: ‘আবহমান’ কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উঠানের লাউ মাচাটার পাশে দাঁড়ালে দেখা যাবে-ছোট একটা ফুল সন্ধ্যার বাতাসে ক্রমাগত দুলছে।

২.১০ ‘তােমার বাড়ি কোথায়?’ – রাধারাণী এই প্রশ্নের উত্তরে কী বলেছিল? 

উত্তর: রাধারানী বলেছিল আমার বাড়ি শ্রীরামপুর।

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখাে :

৩.১ ‘আমার বাণিজ্য-তরী বাঁধা পড়ে আছে। – কোন্ বাণিজ্য-তরী? সেটি বাঁধা পড়ে আছে কেন? 

উত্তর: বাণিজ্য ও ব্যবসার সঙ্গে লাভ-লোকসানের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। জীবিকার জালে আটকে পড়েছে আমাদের জীবন। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সওদাগর বানিজ্য-তরী নিয়ে পাড়ি দিতে দূর দেশে। পণ্যের আমদানি রপ্তানি সঙ্গে সংস্কৃতির আদান-প্রদান চলত। খুবই সাধারণ সওদাগর নন তাই তার চরিত্রে রয়েছে সাহিত্য সম্ভার। সেই স্বপ্ন কল্পনা সাহিত্য ভরা-তরী নিয়ে কবি পাড়ি দিতে চান সাত সমুদ্র পাড়ে। দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে দিতে চান তাঁর সৃষ্টিকে। তাই এখানে বাণিজ্য-তরীর প্রসঙ্গ এসেছে।

৩.২ ‘সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল। – প্রাবন্ধিক কেন এমন মন্তব্য করেছেন? 

উত্তর: উদ্ধৃতাংশ টি সৈয়দ মুস্তাফা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ নামক প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে

সংস্কৃত ভাষার আত্মনির্ভরতার কারণ:-ভাষাবিদ প্রবন্ধে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ভাষা নিয়ে চর্চার মধ্য দিয়ে লক্ষ্য করেছিলেন-নতুন কোনো চিন্তা, অনুভূতি বা বাস্তবকে বোঝানোর জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা অহেতুক অন্য ভাষা থেকে শব্দ ধার করে না। সংস্কৃত ভাষায় একমাত্র নিজস্ব ধাতু, শব্দ একটু অদলবদল করে সংস্কৃত ভাষা নতুন করে তৈরি করতে পারে। এই বিশেষ ক্ষমতার জন্য প্রাবন্ধিকের মতে, সংস্কৃত স্বয়ংসম্পূর্ণ, আত্মনির্ভরশীল ভাষা।

৩.৩ ‘আমি এই ঘাসে বসে থাকি – কোন্ সময়ে কবি ঘাসে বসে থাকেন? তখন প্রকৃতির কেমন রূপ তার চোখে ধরা পড়ে?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের লেখা আকাশের সাতটি তারা কবিতায় যখন আকাশে সাতটি তারা ফুটে ওঠে তখন কবি ঘাসের উপর বসে থাকেন।

যখন সন্ধ্যা বাংলার বুকে নেমে আসে, তখন কবি টের পান তথা বুঝতে পারেন এক কেশবতী কন্যার আগমন বার্তা। সেই নারী যেন চুল দিয়ে জাম কাঠাল-হিজলের বনে চুম্বনরত। তিনি টের পেয়ে যান নরম ধানের গন্ধ বা কলমির ঘ্রাণে, পুকুরের জলে বা হাঁসের পালকে পল্লিবাংলার আসল রূপ ।

৩.৪ ‘নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।

– উদ্ধৃতাংশে নটেগাছের প্রসঙ্গ উত্থাপনে ‘আবহমান’ কবিতায় ‘রূপকথা’র আবেশ কীভাবে রচিত হয়েছে, বিশ্লেষণ করাে। 

উত্তর : নটেগাছ মুড়ানোর প্রসঙ্গ বাংলার এক বিখ্যাত প্রবাদ থেকেই গৃহীত—‘নটেগাছটি মুড়োলো/ আমার কথা ফুরোলো’। কিন্তু কবি বলছেন-না, নটেগাছটি মুড়য়নি, কারণ কথা অনুযায়ী চিরায়ত সত্যের বাণী-মাতৃভূমির প্রতি ফেলে আসা স্মৃতির কথা কোনোদিন ফুরায় না। কবি কল্পনার সাঁকো বেয়ে স্মৃতির হাত ধবে পৌঁছে যান গ্রামজীবনের শৈশবের বেলাভূমিতে।

ঘরের কাছেই উঠান, তার পাশে থাকা লাউমাচা চিরন্তন সত্যের প্রতীক হিসেবে বিদ্যমান। নটেগাছ বুড়য় অর্থাৎ আমাদের বয়স বাড়ে, স্মৃতির ভাণ্ডার বাড়তেই থাকে, কিন্তু তা শেষ হয়ে যায় না, তথা ফুরিয়ে যায় না কখনোই। তেমনিভাবে ফুরিয়ে যায় যাওয়া-আসা বা আসা-যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। বরং দুবন্ত পিপাসা বাড়িয়ে দেয় এই নস্ট্যালজিক স্মৃতিকাতরতা। ঘাসের গন্ধ গায়ে মাখা, আকাশের তারায় তারায় স্বপ্ন এঁকে রাখা, যন্ত্রণার আগুন না-নেভা, দুঃখের বাসি না-হয়ে যাওয়া, সূর্যের ওঠা ও নামা এ সমস্ত কিছুর কিছুই ফুরায় না। কারণ ফুরাতে পারে না চিরন্তন সত্যের রীতি অনুযায়ী। নটেগাছ সেই কারণেই কবির কল্পনায় মুড়িযে যায়নি।

৩.৫ .. আর আহারের সংস্থান রহিল না।

– রাধারাণী ও তার মায়ের দুর্গতির চিত্র ‘রাধারাণী’ পাঠ্যাংশে কীভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা উদ্ধৃতাংশের আলােকে আলােচনা করাে। 

উত্তর : জনৈক মামলাবাজ জ্ঞাতির কারণে স্বামীর বাড়ি ভদ্রাসন থেকে বিতাড়িত সম্পূর্ণ সহায়সম্বলহীন রাধারাণীর মা ও রাধারাণীর কথাই উদ্ধৃতিটিতে বলা হয়েছে। রথযাত্রার আগে রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল, একেবারেই শয্যাশায়ী। এই অবস্থায় কাজ করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে রাধারাণী ছোটো, তার পক্ষেও উপার্জন অসম্ভব। ঘৰেও সঞ্চিত আহার্য নেই, তাই তাদের আর আহার চলে না।

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

৪. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখা (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) :

৪.১ ‘নিরবধি সাতদিন বৃষ্টি নিরন্তর।” – এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় কলিঙ্গবাসীর জীবনকে কীভাবে বিপন্ন করে তুলেছিল তা আলােচনা করাে। 

উত্তর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে দেখা যায় কলিঙ্গে প্রবল প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। দেবী তাঁর কৃপাধন্য ব্যাধ কালকেতু নির্মিত গুজরাট নগর বসতি প্রতিষ্ঠার জন্য কলিঙ্গে প্রলয় ঘটান। ফলে সেখানকার প্রজারা গুজরাটে চলে আসেন।

কলিঙ্গের আকাশে ঘন মেঘের সমাবেশ ঘটে। দেবীর আদেশে হঠাৎই ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূর দিগন্তে মেঘের গম্ভীর ধ্বনি সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। সমগ্র কলিঙ্গ মেঘের গম্ভীর আওয়াজে কেঁপে ওঠে। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে শস্য ক্ষেত ও সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়। আটটি দিক হস্তী যেন বৃষ্টি ধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়। প্রবল বর্ষণে পথঘাট জলমগ্ন হয়। ঘোর অন্ধকারে দিন-রাতের পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। বিপদ থেকে রক্ষা পেতে ভীত প্রজারা ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। সাতদিন অবিরাম বর্ষণের ফলে প্লাবিত হয় কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঘরবাড়ি ও নষ্ট হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের তালের মত বড় আকারের শীল ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশের বীর হনুমান ঝড়ের তান্ডব চালিয়ে মোটা অট্টালিকা ধ্বংস করে প্রজাদের আরো বিপদ গ্রস্থ করে তোলেন। সমস্ত নদনদী কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে দেবীর আদেশে। পর্বত তুল্য ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর মাটিতে পড়ে যায়। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় অবশেষে কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়।

৪.২ ‘চিঠি’ অনুসরণে স্বামী বিবেকানন্দের বিদেশী ভক্ত ও অনুগামীদের পরিচয় দাও। 

উত্তর: স্বামীজীর চিঠিতে যে সমস্ত বিদেশীয ও বিদেশিনীদের নাম উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে প্রথমেই তিনি তাঁর শিষ্য মিস নোবেল এর কথা লিখেছেন। তাকে এই চিঠিটি তিনি লিখেছেন। মিস মার্গরেট ই নোবেল স্বামীজির কাছে দীক্ষা গ্রহণ করেন এবং তারই আদর্শের ভারতের নারী সমাজের কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করেন। কলকাতায় বাগবাজারে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। যেটির নাম নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়।

     মিস হেনরিয়েটা মুলার সাময়িকীকে বেলুড় মঠ স্থাপনের কাজে অর্থ সাহায্য করেছিলেন। মিস মুলার এর বাড়িতে স্বামীজি কিছুদিন অতিথি হিসেবে ছিলেন। মিস মুলার আজন্ম মৈত্রী মনোভাবাপন্ন। স্বামীজি বলেছেন যে, তার কিছুটা রুক্ষ মেজাজি ও অস্থির চিত্ত; তবে তিনি আবার সহৃদয় অমায়িক।

     মিসেস সেভিয়ার সম্পর্কে স্বামীজি খুব প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, মিসেস সেভিয়ার খুবই স্নেহময়ী। তার স্বামী ক্যাপ্টেন জে.এইচ.সেভিয়া দম্পতির একমাত্র ইংরেজ যারা এ দেশীয়দের ঘৃণা করেন না। তবে এদের কোন নির্দিষ্ট কার্যপ্রণালী নেই। স্বামীজীর দুজন বন্ধু হলে মিস ম্যাকলাউড ও বোস্টনের মিসেস বুল। তারা খুবই উপকারী। স্বামীজীকে নানান কাজে সাহায্য করেছে ম্যাকলাউড, আর মিসেস বুল বেলুড় মঠ স্থাপনের অনেক অর্থ সাহায্য করেছেন। স্বামীজি তাঁর একজন ইংরেজ ভক্ত মিঃ স্টার্ডির  কথা বলেছেন। তিনি স্বামীজীকে ইংল্যান্ডে বেদান্ত প্রচারের কাজে সাহায্য করেছিলেন।

 

৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) :

‘কর্ভাস যে এখন সাধারণ কাকের থেকে নিজেকে আলাদা রাখতে চায়, তার স্পষ্ট প্রমাণ আজকে পেলাম। – প্রােফেসর শঙ্কু কীভাবে সেই প্রমাণ পেয়েছেন? 

উত্তর : সত্যজিৎ রায়ের লেখা ‘কর্ভাস’ গল্পে প্রফেসার শঙ্কু তার ‘অরনিথন’ যন্ত্র প্রযোগ করার পর লক্ষ করেছিলেন কর্ভাস অন্য কাকের থেকে আলাদা থাকতে চায়,এর প্রমান হিসাবে তিনি লিখেছেন বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতে একটি কাক মারা গেলে, সেখানে বহু কাকের সমাগম হলেও কর্ভাস তাদের সঙ্গে শামিল হয়নি। সে একমনে পেনসিল মুখে দিয়ে মৌলিক সংখ্যা লিখে চলেছে 2, 3, 5, 7, 11, 13 প্রভৃতি।

৬. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :

৬.১ ধাত্ববয়ব প্রত্যয়ের একটি উদাহরণ দাও। 

উত্তর: চল্ ( গমন করা ) + ই ( নীচ ) = চালি 

৬.২ মৌলিক শব্দ বলতে কী বােঝ? 

উত্তর : যেসব শব্দকে ভাঙা বা বিশ্লেষণ করা যায় না এবং যার সঙ্গে কোনো প্রত্যয়, বিভক্তি বা উপসর্গ যুক্ত থাকে না, তাদের মৌলিক শব্দ বলে।

উদাহরণ: মা, বাবা, বই ইত্যাদি।

৬.৩ নবগঠিত শব্দকে কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় এবং কী কী? 

উত্তর : নবগঠিত শব্দকে সাধারণত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলোর মধ্যে কিছু হলো অবিমিশ্র শব্দ যেমন অনিকেত, অতিবেক ইত্যাদি। আবার কিছু শব্দ ভিন্ন ভিন্ন ভাষার উপাদানের সংযোগে গঠিত। এগুলোকে মিশ্র শব্দ বা সঙ্কর শব্দ বলে।

যেমন : হেড [ ইংরেজি] + পণ্ডিত [ বাংলা ] = হেডপণ্ডিত।

            হেড [ ইংরেজি ] + মৌলবী [ আরবী] = হেডমৌলবী।

             ফি [ ফারসী ] + বছর [ বাংলা ] =ফি-বছর।

৬.৪ তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ লেখাে। 

উত্তর: তামিল শব্দভাণ্ডার থেকে বাংলায় এসেছে এমন দুটি শব্দ হল – চুরুট , পিলে ( ছেলেপিলে ) ।

৬.৫ কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে কোন্ সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়?

উত্তর: কাছের ব্যক্তি বা বস্তুকে নির্দেশ করতে নির্দেশক সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয় । যেমন – ওটা রেখে দাও । 

৭. ভাবসম্প্রসারণ করাে :

‘ধর্মের নামে মােহ এসে যারে ধরে 

অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে।

উত্তর: মানুষের জীবনে কর্মের পাশাপাশি ধর্ম হল একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ অংশ । কিন্তু যখন ধর্ম মানুষের মধ্যে মোহ সৃষ্টি করে তখন সে অন্ধের মত ধর্মের কুসংস্কার মেনে চলে । যার জন্য নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনে তার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে । মানুষের মধ্যে আমাদের সমাজে ধর্ম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ মানুষ সব সময় ধর্ম নিয়ে বেশি সচেতন সে যেই ধর্ম হোক না । কখনো কখনো এই ধর্ম মানুষের মধ্যে এমন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে যে সব সময় সব কিছুর মধ্যে ধর্ম খুঁজে । প্রাচীনকাল থেকে মানুষের মধ্যে ধর্ম নিয়ে নানান সংস্কার বিস্তার হয়ে আছে । মানুষ ধর্মের মধ্যে এমন ভাবে জর্জরিত হয়ে যায় যে সে অন্য কিছু বোঝার চেষ্টা করে না কেবলমাত্র ধর্ম ছাড়া । যার ফলে তার সেই ধর্মের অন্ধকার নিজের জীবনের পাশাপাশি অন্যের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে । ধর্ম সম্পর্কে মানুষকে অন্ধ বিশ্বাসী না হয়ে সচেতন হতে হবে । জাতি ধর্মের মুহতার জীবনসহ অন্য কারো জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন না করে দেয় । তাই ধর্মকে ধর্ম হিসেবে নেওয়া উচিত তাকে অন্ধকারে নিয়ে যাওয়া কখনই উচিত নয় । আমাদের ব্যবহারিক জীবনকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক করার জন্য ধর্মকে উপস্থাপন করা হয়েছে এটা কখনোই ভুলে গেলে চলবে না ।

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

SWG Academy

Class 9 Model Activity Task English Part 8 October

Class 9 Combined Model Activity Task
CLASS – IX
ENGLISH

A. Read the passage carefully and answer the following questions: 

It had been raining for seven years. Thousands upon thousands of days filled from one end to the other with rain. The days were filled with the gush of water and endless showers. Heavy storms caused tidal waves to come over the islands. A thousand forests crushed under the rain, had grown up a thousand times to be crushed again. This was the way of life forever on planet Venus. Here was located the schoolroom of the children belonging to men and women who came by rockets from Earth. They set up a civilization in this raining world. 

Activity 1

Answer the following questions: 2×3 = 6 

i) How long it had been raining in Venus? 

Ans: It had been raining for seven years in the planet venus.

ii) What was the way of life in Venus? 

Ans: In venus, it rained continuously. Heavy storms caused tidal waves to come over the islands. Thousands of forests were crushed under the rain and thousands of forests had grown to be crushed.

iii) Who set up a civilization in the “raining world”?

Ans: The men and women who came from Earth to Venus by rockets, Set up a civilization in the raining world.

Activity 2

Complete the sentences with information from the text: 1×4 = 4 

a) The days were filled with ________________________ .

Ans: the gush of water and endless showers.

b) A thousand forests crushed under _______________________ .

Ans: the rain.

c) This was the way of _____________________ .

Ans: life forever on planet Venus.

d) They set up a _____________________ .

Ans: civilization in this raining world. 

B. Read the passage carefully and answer the following questions: 

The Asian Games of 2022 in Hangzhou will see the return of the game of Chess after the Olympic Council of Asia decided to reinstate the sport in its games programme. Chess was a part of Asian Games 2006 in Doha and 2010 in Guangzhou. India won two gold medals at Doha, with Koneru Humpy winning the gold medal in women’s rapid individual event as well as the mixed team winning the standard event gold. In 2010, the Indian men won a bronze in the standard team event while D. Harika took the bronze in the women’s individual event. 

Viswanathan Anand, five time world champion and India’s first Grandmaster, expressed his happiness over the inclusion of Chess in 2022 Asian games. The All India Chess Federation vice-president D.V. Sundar said it was very good news for the game and the players too and gave India chance to win medals. He also expected a team event and individual events to be part of the games. 

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

Activity 3 

Choose the correct alternative to complete the following sentences: 1×4 = 4 

i) The Asian Games of 2022 will be held in ____________ 

a) Doha 

b) Chennai 

c) Guangzhou 

d) Hangzhou 

Ans: d) Hangzhou

ii) In the standard team event in 2010, the Indian won ____________ 

a) bronze 

b) gold 

c) no medals 

d) silver 

Ans: a) bronze 

iii) D. Harika won _________________ 

a) gold medal 

b) silver medal 

c) no medal 

d) bronze medal 

Ans: d) bronze medal

iv) The vice-president of the All Indian Chess Federation is ____________ 

a) D.V. Sundar 

b) Koneru Humpy 

c) D. Harika 

d) Viswanathan Anand 

Ans: a) D.V. Sundar 

Activity 4 

State whether the following sentences are True or False. Provide supporting statement for your answers: (1+1)×3=6 

a) Chess has always been a part of the Asian Games.

Ans: False

Supporting statement: Chess was a part of Asian Games 2006 in Doha and 2010 in Guangzhou.

b) The Asian Games of 2006 was held in Doha.

Ans: True

Supporting statement: Chess was a part of Asian Games 2006 in Doha

c) Viswanathan Anand was not happy at the inclusion of Chess in the Asian Games. 

Ans: False

Supporting statement: Viswanathan Anand, five time world champion and India’s first Grandmaster, expressed his happiness over the inclusion of Chess in 2022 Asian games.

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

Activity 5 

Do as directed: 1×6 = 6 

i) I wish you to be quiet. (Change into a complex sentence) 

Ans: I wish that you will be quiet.

ii) Opening the gate, the man came in. (Change into a compound sentence) 

Ans: The man opened the gate and came in.

iii) I know who said it. (Change into a simple sentence) 

Ans: I know the speaker.

iv) Returning home, he went to sleep. (Change into a compound sentence) 

Ans: He returned home and went to sleep.

v) He was very sorry and left the place. (Change into a simple sentence) 

Ans: Being very sorry, he left the place.

vi) Work hard or you may fail. (Change into a complex sentence) 

Ans: If you do not work hard, you may fail.

 

Activity 6 

Fill in the blanks with appropriate Prepositions: 1×4 = 4 

a) He is going _______ to school. 

Ans: He is going to school. 

b) The shopkeeper deals ______ sugar. 

Ans: The shopkeeper deals in sugar.

c) ________ having a pen, he has a pencil. 

Ans: Besides having a pen, he has a pencil. 

d) She is free ______ fear. 

Ans: She is free from fear. 

Write a paragraph within 100 words on the Importance of Tree Plantation. 10 

Use the following points: 

[introduction – brings rain – prevents soil erosion – decreases air pollution – adds to beauty of nature – conclusion] 

Importance of Tree plantation

Trees are an essential and indisputable part of our life. They perform a variety of functions, such as provide us with oxygen, food, wood, and many more. A tree is our true friend. They give us flowers and fruits and soothe us with their cool shades. Forest cause normal rainfall which can control flood. The roots of trees bind loose soil and prevent soil erosion. Another very important function of trees is to purify the air. They are a vital part of our environment and are essential to maintain the balance in the ecology. However, in recent times, the practice of deforestation is on the rise. They absorb carbon dioxide and
give us oxygen. We should preserve trees for our own sake. We must have the motto – “each one, plant one.”

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

Activity 8 

Your father has to shift to a different district due to his job requirements. Write a letter to the Headmistress / Headmaster of your school seeking a Transfer Certificate. 10

Ans:

To,

The Headmaster,

ABC High School,

Subject: Transfer Certificate

Respected Sir,

With due respect, I beg to state that our family will shift to Malda as my father got a promotion there. My name is Rajib Sen and I recently received the results of my final exam. For me, this is a heartbreaking moment. All of my friends and teachers will be missed. They greatly aided me in expanding my self-awareness and creativity. I’d like to express my gratitude to each and every one of you. I’m writing to let you know that I’ll be continuing my education at Malda Town High School. According to Malda Town High School Admission policy, I must submit my transfer certificate as soon as possible to the office in order to complete my documentation requirements. I’d like you to send me a copy of the Transfer certificate.

                       

                                                    Thank you.

                                               Yours Faithfully,

                                                     Rajib Sen

                                                      Class IX

                                                    Section: A

                                                   Roll No: 15

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

SWG Academy

Class 9 Model Activity Task History Part 8 November

Class 8 Combined Model Activity Task 

নবম শ্রেণি

ইতিহাস

১. ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :

স্তম্ভস্তম্ভ
১.১ ইয়ং ইতালি(ক) সাঁ সিমাে
১.২ সেফটি ল্যাম্প(খ) জোসেফ ম্যাৎসিনি
১.৩ ইউটোপীয় সমাজতন্ত্র(গ) বিসমার্ক
১.৪ রক্ত ও লৌহ নীতি(ঘ) হামফ্রি ডেভি

উত্তর: 

স্তম্ভস্তম্ভ
১.১ ইয়ং ইতালি(খ) জোসেফ ম্যাৎসিনি
১.২ সেফটি ল্যাম্প(ঘ) হামফ্রি ডেভি
১.৩ ইউটোপীয় সমাজতন্ত্র(ক) সাঁ সিমাে
১.৪ রক্ত ও লৌহ নীতি(গ) বিসমার্ক

২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে :

২.১ ফ্রান্সে দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে। 

উত্তর: সত্য

২.২ শিল্প বিপ্লবের সময় ইংল্যান্ড বিশ্বের কারখানা হিসাবে পরিচিতি পায়। 

উত্তর: সত্য

২.৩ হিটলারের ভাষায় ইতালি ছিল – “একটি ভৌগােলিক সংজ্ঞা মাত্র। 

উত্তর: মিথ্যা

২.৪ এড্রিয়ানােপলের সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়েছিল রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে। 

উত্তর: সত্য

 

৩. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করাে :

৩.১ ফরাসি বিপ্লবের সময় ফ্রান্সের রাজা ছিলেন (চতুর্দশ লুই/পঞ্চদশ লুই/ষােড়শ লুই/নেপােলিয়ন)। 

উত্তর: ষােড়শ লুই

৩.২ ‘কাদিদ’ নামক গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন (রুশাে/ভলতেয়ার/মন্তেস্কু/দিদেরাে)। 

উত্তর: ভলতেয়ার

৩.৩ ফ্রান্সকে ভ্রান্ত অর্থনীতির যাদুঘর’বলে মন্তব্য করেছিলেন (নেপােলিয়ন/রােবসপিয়ের/মিরাবাে/অ্যাডাম স্মিথ)। 

উত্তর: অ্যাডাম স্মিথ

৩.৪ ১৮৬১ খ্রিঃ ‘মুক্তির ঘােষণাপত্র দ্বারা ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদ হয়েছিল— (রাশিয়াতে/ফ্রান্সে/প্রশিয়াতে/অস্ট্রিয়াতে)। 

উত্তর: রাশিয়াতে

৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

 

৪.১ কিারা ‘ইনটেনডেন্ট’ নামে পরিচিত ছিলেন ? 

উত্তর: ফ্রান্সে প্রাক – বিপ্লব সময়ে রাজস্ব আদায়কারী কর্মচারীরা ‘ ইনটেনডেন্ট ‘ নামে পরিচিত ছিল ।

৪.২ লিজিয়ন অব অনার’ কী? 

উত্তর: ‘ লিজিয়ন অব অনার ‘ হলো নেপোলিয়ন প্রবর্তিত এক বিশেষ সম্মান বা উপাধি ।

৪.৩ ‘অর্ডারস ইন কাউন্সিল’ কী? 

উত্তর: 1806 সালের নভেম্বরে নেপোলিয়ান বার্লিন ডিক্রি মহাদেশ থেকে ব্রিটিশ বানিজ্য বাদ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল । ব্রিটিশ কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত সার্বভৌমের জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে কাউন্সিলে জবাব দেয় । 1807 সালের নভেম্বর এবং ডিসেম্বরের আদেশে ব্রিটিশ বাণিজ্যকে বাদ দিয়ে যেকোনও বন্দরের অবরোধ ঘোষণা করা হয়েছিল । যা ‘ অর্ডারস ইন কাউন্সিল ‘ নামে পরিচিত ছিল ।

৪.৪ রিসর্জিমেন্টো কী? 

উত্তর: কার্বোনারি সমিতির মাধ্যমে ইতালিতে এক জাতীয়তাবাদী চেতনার জাগরণ ঘটে এবং আন্দোলনের জন্ম হয় , যাকে বলা হয় রিসজিমেন্টো বা পুনর্জাগরণ বা নবজাগরণ । এর মাধ্যমে ইতালির জনগণ তাদের অতীত ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে ।

৪.৫ ‘ঘেটো’ কাকে বলা হত?

উত্তর: ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের সময় শ্রমিকরা কারখানার সন্নিকটে নোংরা ও ঘিঞ্জি এলাকায় বাধ্য হয়ে বাস করতো । তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল দারিদ্র্যসীমার নিচে । সমাজে এরা ছিল অবহেলিত , বঞ্চিত ও নিপীড়িত । এই সকল দরিদ্র শ্রমিকদের বসবাসের স্থানকে বলা হয় ঘেটো ।

৫. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :

৫.১ কাকে ‘মুক্তিদাতা জার’ বলা হয় এবং কেন? 

উত্তর:  জার দ্বিতীয় আলেকজাণ্ডার যুগ যুগ ধরে নিপীড়িত ভূমিদাসদের দাসত্ববন্ধন থেকে মুক্তি দেবার জন্য মুক্তিদাতা জার নামে পরিচিত । সিংহাসনে আরোহনের পর জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য সংস্কার হলো ভুমিদাস প্রথার উচছেদ । রাশিয়ার ইতিহাসে এটা তার এক অক্ষয় কীর্তি । ভূমিদাস প্রথা উচ্ছেদের জন্য জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে মুক্তিদাতা জার বলা হয় ।

1 ) ভুমিদাস প্রথা বিলোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ – জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার সিংহাসনে আরোহণ করে অনুধাবন করলেন যে , রাশিয়ার পিছিয়ে পড়ার পিছনে একমাত্র ভুমিদাস প্রথাই দায়ী । রাশিয়ার আইন অনুসারে ভুমিদাসগণ ছিল মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি । মালিকেরা তাদের নিলামে বিক্রয় অথবা শারীরিক পীড়ণ করলে রাষ্ট্র তাদের বাধা দিত না । ভুমিদাসরা বংশানুক্রমে ভুমিদাসের কাজ কর ।

2 ) আলেকজান্ডার কর্তৃক ভুমিদাস প্রথা বিলোপের ঘোণাপত্রঃ- 1861 সালের 19 ই ফ্রেবুয়ারী মুক্তির ঘোষণা দ্বারা জঘন্য দাসপ্রথার উচ্ছেদ সাধন করেন । এ ঘোষণা অনুযায়ী  

i ) ভুমিদাসরা দাসত্ব থেকে মুক্তি পায় 

ii ) ভুমিদাসরা নাগরিক অধিকার লাভ করে

iii ) জমিদারদের ভুমির একাংশ ভূমিদাসরা পায় ও কৃষরা জীবীকা নির্বাহের সুযোগ পায় । 

iv ) জমিদাররা জমির জন্য ক্ষতিপুরণ সরকারের কাছ থেকে পায় ।

v ) কৃষকেরা 4 বছরের কিস্তিতে এ অর্থ সরকারকে পরিশোধ করবে ।

৫.২ টীকা লেখাে : কোড ‘নেপােলিয়ন’ 

উত্তর:  ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘ কোড নেপোলিয়ন ‘ বা আইনবিধির প্রবর্তন । তার শাসনকালের পূর্বে ফ্রান্সের নানাস্থানে নানা ধরনের বৈষম্যমূলক পরস্পর বিরোধী আইন প্রচলিত ছিল । নেপোলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সে একধরনের ব্যবস্থা চালু করে । ফ্রান্সের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে 4 জন বিশিষ্ট আইনজীবীর পরিষদ গঠন করেন । এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আইন – বিধি সংকলিত হয় , যা ‘ কোড নেপোলিয়ন ‘ নামে খ্যাত ।

কোড নেপোলিয়ন এর গুরুত্ব : 

i ) একই আইন প্রবর্তন : কোড নেপোলিয়নের সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন ব্যবস্থা চালু করেন । ফলে ফরাসির প্রশাসন একটি সুস্থিত রূপ লাভ করে ।

ii ) বিপ্লবের আদর্শকে রক্ষা : ফরাসি বিপ্লবের সময় যে সমস্ত ঘোষণা ও আইনগত ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়েছিল , সেগুলি একটি আইনগ্রন্থে সংকলিত হয় । এইভাবে কোড নেপোলিয়ন এর প্রবর্তন বিপ্লবী আদর্শ রক্ষিত হয়েছিল ।

iii ) ফরাসি সমাজের বাইবেল হিসেবে স্বীকৃতি : ‘ কোড নেপোলিয়ন ‘ ফ্রান্সের বুর্জোয়া শ্রেণি অধিকাংশ মানুষকে সন্তুষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল । এইভাবে ফরাসি সমাজের বাইবেল পরিণত হয় ।

উপসংহার : এইভাবে ‘ কোড নেপোলিয়ন ‘ -এর মাধ্যমে নেপোলিয়ন ও বিপ্লবের আদর্শগুলিকে বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন । এই আইন সংহিতা কেবল ফ্রেন্সই নয় , ফ্রান্সের সীমানা ছাড়িয়ে ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছিল । এই আইনের মাধ্যমে সকল মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না হলেও , এ বিষয়ে যে আন্তরিক প্রয়াস লক্ষ্য করা গিয়েছিল তা বিশেষভাবে উল্লেখ এর দাবি রাখে 

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

৫.৩ হিটলারের উত্থানের পশ্চাতে কোন কারণগুলি ছিল?

উত্তর: প্রথম বিশ্বযুদ্ধেৱ শেষে জার্মানিতে ‘সােশ্যালিস্ট রিপাবলিকান দল রাজতন্ত্রের পরিবর্তে প্ৰজাতান্ত্রিক সরকাৱ (ভাইমার প্ৰজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে (৯ নভেম্বর, ১৯১৮ খ্রি.)। এই সরকারের আমলেই হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি দল জার্মানিতে ক্ষমতা দখল করে।

1. ভাইমার প্রজাতন্ত্রের ব্যর্থতার সুবাদে : ভাই প্রজাতান্ত্রিক সরকার মিত্রপক্ষের ভার্সাই চুক্তির অপমান শর্তগুলি মেনে নেয় এবং ৬৬০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়। সরকারের এই আপসরফাকে হিটলার চরম ব্যর্থতা বলে প্রচার করে তার নাৎসি দলের উত্থানের পথ প্রস্তুত করেন।

2. আর্থিক সংকটের সুযােগে: ভার্সাই সন্ধির শর্তানুযায়ী যুদ্ধজনিত কারণে জার্মানির ওপর এক বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতিপূরণের বােঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিপূরণের এই বিশাল অর্থের জোগানের লক্ষ্যে জার্মানিতে ভাইমার প্রজাতান্ত্রিক সরকার করের হার বাড়ায়। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পায়, যার পরিণামে জার্মানবাসী জেরবার হয়ে পড়ে। এই আর্থিক সংকট মােচনের আশ্বাস দিয়ে হিটলারের নাৎসি দল জার্মানিতে ক্ষমতা দখল করে।

3. রাজনৈতিক অস্থিরতা কাজে লাগিয়ে: ভাইমার প্রজাতন্ত্রের আমলে জার্মানিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ১৯১৯-১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জার্মানিতে মােট ১৫টি মন্ত্রিসভা ক্ষমতায় আসে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার আশ্বাস দিয়ে জার্মানিতে হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি দল ক্ষমতা দখল করে।

৫.৪ ‘এমস টেলিগ্রাম’ কী? 

উত্তর : এমস নামক স্থানে ফরাসি রাষ্ট্রদূত বেনেদিতি প্রাশিয়ার রাজা উইলিয়ামের সঙ্গে দেখা করেন এবং ভবিষ্যতে স্পেনের সিংহাসনে প্রাশিয়ার কোনো দাবী থাকবে না এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দাবী করেন। রাজা উইলিয়াম এই ঘটনার বিবরণ বিসমার্ককে টেলিগ্রাম করে জানালে বিসমার্ক টেলিগ্রামটি এমনভাবে সংশোধিত করে প্রকাশ করেন যাতে ফরাসিরা মনে করে যে তাদের দূত প্রাশিয়ার রাজা কর্তৃক অপমানিত হয়েছেন। এই ঘটনা এমস টেলিগ্রাম নামে পরিচিত।

এমস টেলিগ্রামের পটভূমি: একটি বহির্দেশীয় ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমস টেলিগ্রামের পটভূমি রচিত হয়েছিল। 

ঘটনাটি হল—

স্পেনের সিংহাসন নিয়ে বিরােধঃ- স্পেনের রানি ইসাবেলা (Isabella)-র বিরুদ্ধে স্পেনে বিদ্রোহশুরু হয় এবং রানি সিংহাসনচ্যুত হন (1868 খ্রি.)।এই সময় স্পেনীয়রা প্রাশিয়ার হােহেনজোলার্ন (Hohenzollern) রাজবংশের প্রিন্স লিওপােল্ড(Leopold)-কে স্পেনের রাজা হওয়ার জন্য অনুরােধ করে। লিওপােল্ড ছিলেন প্রাশিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনির পুত্র।

এমস টেলিগ্রামের ফলাফল : 

প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের যুদ্ধ ঘোষণাঃ এই ঘটনার কথা জানতে পেরে ফরাসি জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে । ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন এই অপমানের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ষণা করেন ( 15 জুলাই , 1870 খ্রি .)। 

ফ্রান্স – প্রাশিয় যুদ্ধঃ অপ্রস্তুত ফ্রান্স হঠাৎ যুদ্ধ ঘোষণা করায় প্রাশিয়ার কাছে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয় । ফ্রাঙ্কফোর্ট সন্ধি ( 10 মে , 1871 খ্রি . ) – এর মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান ঘটে ।

৬. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :

জার্মানির ঐক্য আন্দোলনে বিসমার্কের ভূমিকার উল্লেখ করাে।

উত্তর: ১৮৪৮-৪৯ সালে জার্মানিতে জাতীয়তাবাদী ঐক্য আন্দোলনের ব্যর্থতা থেকে কয়েকটি বিষয় প্রমানিত হয়। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে জার্মানির ঐক্যসাধন সম্ভব নয়, প্রাশিয়ার নেতৃত্বেই জার্মানির ঐক্য সম্ভব। তাই প্রাশিয়ার রাজা প্রথম উইলিয়াম অটোভন বিসমার্ককে প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন।

রক্ত লৌহ নীতি : প্রধানমন্ত্রী বিসমার্কের উদ্দেশ্য অ নীতি ছিল খুব স্পষ্ট। এগুলি হল, তিনি ছিলেন রাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং প্রাশিয়ার সংসদের বিরোধ দেখা দেয়। এপ্রসঙ্গে বিসমার্ক প্রাশিয়ার সংসদের অর্থ সংক্রান্ত কমিটিতে বলেছিলেন বক্তৃতা বা সংখ্যা গরিষ্ঠ এর মতামত নয় বরং একমাত্র সামরিক শক্তি বা ‘রক্ত ও লৌহ নিতি’-র দ্বারাই সমস্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে তিনি দৃঢ় বিশ্বাস করতেন। বিসমার্কের এই নীতিটি রক্ত ও লৌহ নীতি নামে পরিচিত। প্রাশিয়ার প্রতিনিধি সভার সংখ্যা গরিষ্ঠ এর মতকে উপেক্ষা করেই তিনি সামরিক প্রস্তুতি ছালান এবং পরপর তিনটি যুদ্ধের মাধ্যমে জার্মানির ঐক্য সম্পন্ন করেন।

বিসমার্কের নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্য :

ডেনমার্কের সঙ্গে যুদ্ধ : বিসমার্কের নেতৃত্বে জার্মানির ঐক্যের প্রথম পদক্ষেপ ছিল ডেনমার্কের সাথে প্রাশিয়ার যুদ্ধ। ডেনমার্কের দক্ষিণে শ্লেজউইগ ও হলস্টেইন নামে দুটি ডাচি জার্মানির রাজ্যসীমার মধ্যে অবস্থিত হলেও তা ডেনমার্কের অধীনে ছিল। এই দুটি প্রদেশ দখলের জন্য বিসমার্ক অস্ট্রিয়ার সাথে মিলিত হয়ে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাকে অনায়াসে পরাজিত করে। এরপর ভিয়েনার সন্ধি অনুসারে ডেনরাজ ডাচিদ্বয়ের উপর প্রাশিয়া ও অস্ট্রিয়ার মিলিত অধিকার স্বীকার করতে বাধ্য হন কিন্তু স্থান দুইটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্ট্রিয়া ও প্রাশিয়ার মধ্যে মতভেদ দেখা দিলে ১৮৬৫ সালে গ্যাসটিন চুক্তি দ্বারা একটি সামরিক মীমাংসা হয়। স্থির হয় যে, শ্লেজউইগ থাকবে প্রাশিয়ার অধিপত্যে আর হলস্টেইনের উপর কর্তৃত্ব থাকবে অস্ট্রিয়ার।

• স্যাডোয়ার যুদ্ধ: ১৮৬৬ সালে অস্ট্রিয়া শেজউইগ হলস্টেইনের প্রশ্নটি কনফেডারেশনের ডায়েটের নিকট উপস্থিত করলেন তা গ্যাসটিনের চুক্তি বিরোধী এই অভিযোগে প্রাশিয়া হলস্টেইনে সৈন্য পেরন করে। এর প্রতিবাদে অস্ট্রিয়ার নেতৃত্বে ডায়েট প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ অস্ট্রিয়া চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। এর ফলে কেবলমাত্র অস্ট্রিয়াই নয়, সমগ্র জারমানি প্রাশিয়ার পদানত হয়।

    • সেডানের যুদ্ধের ফলে জার্মান-ঐক্য আংশিকভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। বিসমার্ক বুঝেছিলেন যে, জার্মান জাতির সম্পূর্ণ ঐক্যের পথে ফ্রান্সই প্রধান অন্তরায়। তাই ফ্রান্সকে বিচ্ছিন্ন করে ফ্রান্সের বিরুদ্ধ বিসমার্ক যুদ্ধের অজুহাত খুঁজতে থাকেন। শীঘ্রই স্পেনের সিংহাসন নিয়ে ফ্রান্স ও প্রাশিয়ার মধ্যে এক বিবাদ উপস্থিত হয়। এই বিবাদের সূত্র ধরেই এমস টেলিগ্রামকে কেন্দ্র করে বিসমার্ক এমন অবস্থা সৃষ্টি করেন যে, ফ্রান্স নিজেই প্রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ইউরোপীয় শক্তিগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ফ্রান্সে সহজেই প্রাশিয়ার কাছে পরাজিত হতে থাকে। অবশেষে ১৮৭০ সালে সেডানের যুদ্ধে ফ্রান্স সম্পূর্ণ পরাজিত হয়। ফ্রান্স ১৮৭১ সালে অপমানজনক শর্তে ফ্রাঙ্কফুর্টের সন্ধি করতে বাধ্য হয় এবং এই সন্ধি অনুযায়ী ফ্রান্স জার্মানিতে মেটল দুর্গ ও আলসাস লোরেন অঞ্চল দুটি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

SWG Academy

Class 9 Model Activity Task Geography Part 8 November

Class 9 Combined Model Activity Task

নবম শ্রেণি

পরিবেশ ও ভূগোল

১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে :

 

১.১ সৌরজগতের বহিঃস্থ গ্রহগুলির যে বৈশিষ্ট্যটি থাকেনা সেটি হলাে—

ক) এরা আকারে বড়

খ) এদের নির্দিষ্ট কক্ষপথ আছে 

গ) এরা কঠিন শিলায় গঠিত

ঘ) এরা সূর্য থেকে অনেক দূরে অবস্থিত 

উত্তর: গ) এরা কঠিন শিলায় গঠিত

১.২ সূর্যের উত্তরায়নের শেষ সীমা হলাে—

ক) মকরক্রান্তি রেখা 

খ) কর্কটক্রান্তি রেখা 

খ) কুমেরুবৃত্ত রেখা

ঘ) সুমেরুবৃত্ত রেখা 

উত্তর: খ) কুমেরুবৃত্ত রেখা

১.৩ মানবিক সম্পদের একটি উদাহরণ হলাে –

ক) সূর্যালােক

খ) প্রাকৃতিক গ্যাস 

গ) দক্ষতা

ঘ) ভূতাপ শক্তি 

উত্তর: গ) দক্ষতা

১.৪ বিষুবরেখায় ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ হলাে—

ক) ০°

খ) ৯০°

গ) ৬০°

ঘ) ৪৫°

উত্তর: ক) ০°

১.৫ ভূ-আলােড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে কাজ করলে সৃষ্টি হয়—

ক) তূপ পর্বত 

খ) ভঙ্গিল পর্বত 

গ) গ্রস্ত উপত্যকা

ঘ) মহাদেশ

উত্তর: খ) ভঙ্গিল পর্বত 

১.৬ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে —

ক) তিস্তা নদী–জোয়ারের জলে পুষ্ট 

খ) দার্জিলিং জেলা – দৈনিক উষ্ণতার প্রসর বেশি 

গ) মালভূমির ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা – জলধারণ ক্ষমতা কম

ঘ) পাইন — ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ 

উত্তর: গ) মালভূমির ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা – জলধারণ ক্ষমতা কম 

১.৭ অক্ষরেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলাে—

ক) সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান ০° 

খ) প্রতিটি অক্ষরেখা মহাবৃত্ত 

গ) অক্ষরেখাগুলি পরস্পরের সমান্তরাল 

ঘ) প্রতিটি অক্ষরেখার পরিধি সমান

উত্তর: গ) অক্ষরেখাগুলি পরস্পরের সমান্তরাল 

১.৮ বিদার অগ্নমের মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপ হলাে—

ক) স্তুপ পর্বত 

খ) লাভা মালভূমি 

গ) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি

ঘ) আগ্নেয়গিরি 

উত্তর: খ) লাভা মালভূমি

১.৯ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে—

ক) দামােদর নদী – পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল 

খ) কালিম্পং জেলা – সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান 

গ) পডজল মৃত্তিকা – পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল

ঘ) অ্যালপাইন উদ্ভিদ – সুন্দরবন অঞ্চল 

উত্তর: খ) কালিম্পং জেলা – সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান

 

২. শূন্যস্থান পূরণ করাে : 

 

২.১ দ্রাঘিমারেখাগুলি নিরক্ষরেখাকে ___________ কোণে ছেদ করেছে। 

উত্তর: সম

২.২ আবহবিকারগ্রস্ত শিলা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে মূল শিলার উপর যে শিথিল আবরণ তৈরি করে তাকে ___________ বলে ।

উত্তর: রেগলিথ

২.৩ দার্জিলিং জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি নিত্যবহ নদী হলাে ___________ ।

উত্তর: তিস্তা

 

৩. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে :

 

৩.১ নিরক্ষরেখায় অভিকর্ষের মান সর্বাধিক। 

উত্তর: ভুল

৩.২ কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গােলার্ধে আয়ন বায়ু বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়।

উত্তর: ভুল

৩.৩ অচিরাচরিত শক্তির একটি উৎস জোয়ারভাটা শক্তি। 

উত্তর: ঠিক

৪. একটি বা দুটি শব্দে উত্তর দাও :

 

৪.১ কোনাে স্থানের দ্রাঘিমা ২৪° পূঃ হলে ঐ স্থানটির প্রতিপাদস্থানের দ্রাঘিমা কত হবে? 

উত্তর: কোনাে স্থানের দ্রাঘিমা ২৪° পূঃ হলে ঐ স্থানটির প্রতিপাদস্থানের দ্রাঘিমা হবে ১৮০°-২৪° = ১৫৬°

৪.২ একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির নাম লেখাে। 

উত্তর: একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির নাম হল তিব্বত মাল্ভুমি ।

৪.৩ কোন জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য লক্ষ করা যায়?

উত্তর: আর্দ্র নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকারের প্রাধান্য লক্ষ করা যায় ।

৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

 

৫.১ কোনাে একটি নিরপেক্ষ সামগ্রীর সম্পদ হয়ে ওঠার শর্তগুলি উল্লেখ করাে। 

উত্তর: কোনাে একটি নিরপেক্ষ সামগ্রীর সম্পদ হয়ে ওঠার শর্তগুলি হল – 

1. কার্যকারিতা  

2. উপযোগতা বা অভাব মোচনের ক্ষমতা 

3. গ্রহণযোগ্যতা 

4. সর্বজনীন চাহিদা 

5. পরিবেশমিত্রতা

৫.২ GPS – এর দুটি ব্যবহার উল্লেখ করাে। 

উত্তর: GPS – এর দুটি ব্যবহার হল –

1. ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের সঠিক অবস্থান ও উচ্চতা নির্ণয়ে 

2. যানবাহন চলাচলের সঠিক দিশা দেখাতে ।

৫.৩ নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি কী কী?

উত্তর: নদী ও খালের জলের অতিরিক্ত ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাবগুলি নিম্নরূপ – 

1. কৃষিজমিতে সেচের কাজে অতিরিক্ত নদী ও খালের জল ব্যবহারের ফলে জমি লবণাক্ত হয়ে পড়ে । 

2. নদী ও খালের জল অতিরিক্ত ব্যবহারে নদী ও খালের নাব্যতা কমতে থাকে । 

3. শিল্পক্ষেত্রের বর্জ্য নিষ্কাশনে নদী ও খালের জল অতিরিক্ত ব্যবহারে জল দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় । 

4. পরিবহনের কাজে নদী ও খালের জলকে অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে জলে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ।

৫.৪ আবহবিকারে প্রাণীদের ভূমিকা উদাহরণসহ আলােচনা করাে। 

উত্তর: ভূমির আবহবিকারে প্রাণীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যান্ত্রিক ও রাসায়ানিক উভয় পদ্ধতিকে অবলম্বন করে প্রাণীরা আবহবিকারে অংশগ্রহণ করে।

(i) যান্ত্রিক পদ্ধতি : ইঁদুর, খরগোশ, খেকশিয়াল, প্রেইরি কুকুর, পেঁচা ইত্যাদি শিলার মধ্যে গর্ত খুঁড়ে বাসা তৈরি করে। শামুক চুনাপাথরের মধ্যে গর্ত তৈরি করতে পারে।

(ii) রাসায়ানিক পদ্ধতি : পশু-পাখির বর্জ্য পদার্থ শিলার রাসায়নিক আবহবিকার ঘটায়। প্রাণী মারা যাওয়ার পর প্রাণীদের থেকে নির্গত জলীয় পদার্থের মাধ্যমে শিলার রাসায়নিক আবহবিকার ঘটে। জীবাণু, কীট ও ব্যাকটেরিয়া শিলার মধ্যে রাসায়ানিক আবহবিকার ঘটাত।

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

৬.১ আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করিনা কেন? 

উত্তর: আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করিনা কারণ আমরাও পৃথিবীর আবর্তন গতির সঙ্গে মান গতিতে ঘুরছি । তাই আমরা পৃথিবীর আবর্তন বেগ অনুভব করিনা ।

৬.২ ‘পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্জলে বসবাস করেন’ – ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমিতে তাদের আবাস্থল তৈরি করেছে। এর কারণগুলি হল-

(i) কৃষি : সমতল ভূমি, উর্বর মাটির সুবিধার কারণে সমভূমিতে কৃষিকাজ খুব ভালো হয় ।

(ii) সভ্যতার বিকাশ : মানুষের প্রধান তিনটি চাহিদার সমভূমিতে সহজে মেটানো সম্ভব বলে সভ্যতার আদিকালে নদী অববাহিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে ছিল বিভিন্ন সভ্যতা ।

(iii) উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা : সমভূমিতে সড়ক, রেল ও জলপথ ব্যবস্থা অতি সহজেই গড়ে তোলা যায়।

(iv) ব্যবসা-বানিজ্যের বিকাশ : ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে সমভূমিকে কেন্দ্র করে শিল্পকেন্দ্র গুলি গড়ে উঠেছে। ফলে মানুষ সেই শিল্পকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে কাজের সুবিধার্থে বসতি স্থাপন করেছে।

(v) জনবসতি : জীবনধারণ সমভূমিতে সহজসাধ্য। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় রসদ সমভূমি থেকে সবথেকে সহজে ও দ্রুত সংগ্রহ করতে পারে। এই কারণে সমভূমিতে জন ঘনত্ব সর্বাধিক।

৬.৩ আগ্নেয় পর্বত ও ক্ষয়জাত পর্বতের মধ্যে পার্থক্য লেখাে।  উত্তর: 
বিষয়  আগ্নেয় পর্বত ক্ষয়জাত পর্বত
উৎপত্তি  অগ্ন্যুৎপাতের কারণে লাভা , সিন্ডার ও ভস্ম সঞ্চয়ের ফলে সৃষ্টি হয় ৷ প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কাজের ফলে এই পর্বত গঠিত হয় ৷
শক্তি  অন্তর্জাত শক্তি এই পর্বত সৃষ্টির জন্য দায়ী । বহির্জাত শক্তি এই পর্বত সৃষ্টির জন্য দায়ী ।
আকৃতি  আগ্নেয় পর্বত শঙ্কু আকৃতির হয় । প্রধানত গম্বুজের মতো হলেও যেকোনো আকৃতির হতে পারে ৷

৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

 

৭.১ চিত্রসহ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে পৃথিবীর গােলীয় আকৃতির প্রমাণ দাও—

(ক) দিগন্তরেখা

(খ) ধ্রুবতারা 

উত্তর: 

( ক ) দিগন্ত রেখা : কোনো বড়ো ফাঁকা মাঠে দাঁড়ালে দূরে মনে হয় আকাশ মাটিতে মিশে গেছে । তেমনি সমুদ্রতীরে দাঁড়ালে দূরে মনে হয় জল আকাশকে ছুঁয়ে আছে । পৃথিবী গোলাকার বলেই এটি ঘটেছে । পৃথিবী গোলাকার বলেই ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায় দিগন্তরেখার বিস্তৃতি তত বাড়ে এবং আকৃতিও বৃত্তচাপের মত হয় । 

( খ ) ধ্রুবতারা : উত্তর গোলার্ধে ধ্রুবতারাকে আমরা নিরক্ষরেখায় 0 ° কোণে দেখি । নিরক্ষরেখা থেকে যত উত্তরে যাওয়া যায় ততই ধ্রুবতারা উঁচুতে উঠতে উঠতে উত্তর মেরুতে দেখি একেবারে মাথার উপর 90 ° কোণে । পৃথিবী সমতল হলে সকল স্থান থেকেই ধ্রুবতারাকে একই উন্নতি কোণে দেখা যেত ।

৭.২ ‘উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষারের কার্যের ফলে শিলা আবহবিকারগ্রস্ত হয়’ – চিত্রসহ ব্যাখ্যা করাে। অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়ায় শিলা কীভাবে বিয়ােজিত হয় উদাহরণসহ লেখাে। 

উত্তর: উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষারের কার্যের ফলে যান্ত্রিক আবহবিকারের তুষার খন্ডীকরণ প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে প্রাধান্য লাভ করে থাকে । এই প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত শীতলতার সংস্পর্শে এসে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে শিলা ফাটলের মধ্যে আবদ্ধ জল বরফে পরিণত হয় এবং আয়তনে বেড়ে ফাটলের গায়ে প্রচন্ড চাপ দিতে থাকে । দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকলে শিলার ফাটলটি আরও বেড়ে যেতে থাকে এবং অবশেষে মূল শিলাদেহ থেকে শিলাস্তর খন্ড খন্ড হয়ে ভেঙে পড়ে ।

অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়ায় বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিতে শিলা মধ্যস্থ লৌহযুক্ত খনিজের সাথে অক্সিজেন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শিলার বিয়োজন ঘটিয়ে থাকে । এই প্রক্রিয়ায় লোহা ফেরাস অক্সাইড থেকে ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয় ও শিলা সহজেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ে । এই প্রক্রিয়ায় শিলার উপর হলদে – বাদামি ছোপ বা মরচে পড়তে দেখা যায় । 

উদাহরণ : উড়িষ্যার বোলানি ও ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণাংশে কিরিবুরুর লৌহসমৃদ্ধ উচ্চভূমিতে অক্সিডেশন বা জারণ প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় ।

৭.৩ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু কীভাবে মৌসুমী বায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয়?

ক) ঋতু পরিবর্তনের ওপর প্রভাব : মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের উপর ভিত্তি করে এরাজ্যে ঋতু পরিবর্তন ঘটে এবং আগমন ও প্রত্যাগমন এর উপর ভিত্তি করে বছরটিকে চারটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে।

খ) বৃষ্টিপাতের উপর প্রভাব : পশ্চিমবঙ্গের মোট বৃষ্টিপাতের ৯০ ভাগ ঘটে বর্ষকালে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমন কালে বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকে বলে বৃষ্টিহীন।

গ) আর্দ্র গ্রীষ্মকাল শুষ্ক শীতকাল : গ্রীষ্মকালের শেষে দক্ষিণের সমুদ্র থেকে মৌসুমী বায়ু প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে এবং সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাত হয় । তাই পশ্চিমবঙ্গে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র প্রকৃতির । আবার শীতকালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মৌসুমী বায়ু দক্ষিণ দিকে ফিরতে থাকে । স্থলভাগ থেকে প্রবাহিত এই বায়ুতে জলীয়বাষ্প থাকে না বলে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না তাই শীতকাল শুষ্ক প্রকৃতি হয় । 

ঘ) বায়ুপ্রবাহ : মৌসুমি বায়ুর আগমন কালে বায়ু দখিণের সমুদ্র থেকে উত্তর দিকে বয়ে যায় এবং প্রত্যাগমন কালে স্তল ভাগ থেকে দক্ষিণে সমুদ্রের দিকে যায়।

ঙ) উষ্ণতার প্রভাব : মৌসুমি বায়ুর আগমনের কারণে আকাশ মেঘে ঢেকে জায়্য এবং বৃষ্টি হয় বলেই উষ্ণতা যা হওয়ার কথা তার থেকে কম হয় অনেকটা। আবার মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমণের সময় আকাশ কিছুটা মেঘলা হয়ে থাকে বলে গড় উষ্ণতা বর্ষাকালের থেকে সামান্য বৃদ্ধি পায় ।

Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education) – Click Here

ALL Class ALL Model Activities Click Here
 Class 6 Model Activity Task Part 8 (Bengali, English, History, Geography )Click Here
 Class 6 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education)Click Here
 Class 7 Model Activity Task Part 8 (Bengali, English, History, Geography )Click Here

 Class 7 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education)

Click Here
 Class 8 Model Activity Task Part 8 (Bengali, English, History, Geography )Click Here
 Class 8 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education)Click Here
Class 9 Model Activity Task Part 8 (Bengali, English, History, Geography )Click Here
Class 9 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education)Click Here
Class 10 Model Activity Task Part 8 (Bengali, English, History, Geography )Click Here
Class 10 Model Activity Task Part 8 (Science, Mathematics, Health & Physical Education)Click Here

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

X