StudyWithGenius

HS Bengali Suggestion 2023 –শিকার(জীবনানন্দ দাশ)কবিতা প্রশ্ন উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ - HS Last Minute Suggestion Bengali 2023

HS Bengali Suggestion 2023

HS Bengali Suggestion 2023 – HS Last Minute Suggestion Bengali 2023 : 2023 bengali suggestion, samrat exclusive bengali suggestions hs, samrat exclusive bengali suggestions hs 2023, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বড় প্রশ্ন উত্তর 2023, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা ছোট প্রশ্ন উত্তর 2023, class 12 bengali suggestion 2023 pdf download education suggestion 2023 class 12, samrat exclusive suggestion book 2023 pdf, hs bengali suggestion 2022 mcq, bengali suggestion 2023 hs, 2023 hs bengali suggestion, 2023 hs suggestion, bengali hs suggestion 2022, bengali hs suggestion 2023, h.s bengali suggestion 2023, hs bengali rachana suggestion 2023, hs bengali suggestion 2023, hs bengali suggestion 2023 abta, hs bengali suggestion 2023 abta test paper, hs bengali suggestion 2023 answer, hs bengali suggestion 2023 answer key, hs bengali suggestion 2023 bengali medium, hs bengali suggestion 2023 bengali suggestion, hs bengali suggestion 2023 class 12, hs bengali suggestion 2023 english, hs bengali suggestion 2023 english suggestion, hs bengali suggestion 2023 february, hs bengali suggestion 2023 final exam, hs bengali suggestion 2023 for hs, hs bengali suggestion 2023 hs suggestion, hs bengali suggestion 2023 kolkata, hs bengali suggestion 2023 pdf, hs bengali suggestion 2023 pdf download, hs bengali suggestion 2023 question answer, hs bengali suggestion 2023 test paper, hs bengali suggestion 2023 mcq, hs bengali suggestion 2023 mcq queston, hs bengali suggestion 2023 chapter wise,  

HS Bengali Suggestion 2023 – শিকার(জীবনানন্দ দাশ)কবিতা প্রশ্ন উত্তর

পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার অধ্যায় ভিত্তিক (শিকার-জীবনানন্দ দাশ) সাজেশন নিম্নে দেওয়া হল। এখানে উল্লিখিত অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short,  Descriptive Question and Answer) গুলি দেওয়া হল। এই প্রশ্ন এবং উত্তর  গুলি 2023 সালের উচ্চ মাধ্যমিক  বাংলা পরীক্ষার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তোমরা যারা উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ের জন্য জন্য সাজেশন খুঁজে চলেছো, তারা নিম্নে দেওয়া প্রশ্ন এবং উত্তর গুলি ভালো করে পড়তে পারো।

HS Bengali Suggestion 2023 – শিকার(জীবনানন্দ দাশ) প্রশ্ন উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ - MCQ প্রশ্নোত্তর [ মান ১ ]

  1. “সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে।” – কারা আগুন জ্বেলেছে ?
    (ক) প্রবাসীরা
    (খ) অতিথিবৃন্দ
    (গ) দেশোয়ালিরা
    (ঘ) বনবাসীরা
    উত্তর – (গ) দেশোয়ালিরা
  2. ঘাসের বিছানা ছিল –
    (ক) নদীর পাড়ে
    (খ) মেহগনির বনে
    (গ) নক্ষত্রের নীচে 
    (ঘ) অর্জুনের বনে
    উত্তর – (গ) নক্ষত্রের নীচে 
  3. “নদীর জল ___________ পাপড়ির মতো লাল ।”
    (ক) মচকা ফুলের  
    (খ) গোলাপ ফুলের
    (গ) জবা ফুলের
    (ঘ) মোরগ ফুলের
    উত্তর – (ক) মচকা ফুলের   
  4. “একটা অদ্ভুত শব্দ।”— কীসের অদ্ভূত শব্দ ? 
    (ক) ঢাকের
    (খ) বোমার 
    (গ) ফাটা বাঁশের 
    (ঘ) গুলির
    উত্তর – (ঘ) গুলির
  5. “ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে।”— কী ঝিলমিল করছে ?
    (ক) নদীর জল 
    (খ) ভোরের শিশির 
    (গ) অশ্বত্থপাতা
    (ঘ) বন ও আকাশ 
    উত্তর – (ঘ) বন ও আকাশ 
  6. ” ___________ মতো অন্ধকারে…।” 
    (ক) মেহগনির
    (খ) বাতাবি লেবুর 
    (গ) রাত্রির
    (ঘ) অর্জুনের  
    উত্তর – (ক) মেহগনির
  7. “আগুন জ্বলল আবার।”— আবার আগুন জ্বলার কারণ –   
    (ক) ঠান্ডায় আরাম পাবার জন্য
    (খ) অন্ধকার দূর করার জন্য
    (গ) হরিণের মাংস তৈরির জন্য 
    (ঘ) চিতাবাঘ তাড়ানোর জন্য 
    উত্তর – (গ) হরিণের মাংস তৈরির জন্য 
  8. “টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা।”-  মানুষগুলো — 
    (ক) পুলিশ
    (খ) ডাকাত
    (গ) শিকারি    
    (ঘ) সৈন্য
    উত্তর – (গ) শিকারি    
  9. “আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল” — কী রেখেছিল ? 
    (ক) বরফ
    (খ) মুক্তা
    (গ) হিরে 
    (ঘ) হরিণের মাংস 
    উত্তর – (খ) মুক্তা
  10. “এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।”- ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল –
    (ক) কয়েকজন শিকারি মানুষ
    (খ) বাদামি হরিণ
    (গ) ঘাসফড়িং
    (ঘ) চিতল হরিণ 
    উত্তর – (খ) বাদামি হরিণ
  11. আকাশের রংকে কবি তুলনা করেছেন –
    (ক) ঘাসফড়িং-এর দেহের সঙ্গে 
    (খ) সমুদ্রের জলের সঙ্গে 
    (গ) বিকেলের রোদের সঙ্গে
    (ঘ) গাছের পাতার সঙ্গে
    উত্তর – (ক) ঘাসফড়িং-এর দেহের সঙ্গে 
  12. সারারাত হরিণটি ঘুরেছিল –
    (ক) মহুয়ার বনে    
    (খ) শালপিয়ালের বনে 
    (গ) অর্জুন-সুন্দরীর বনে 
    (ঘ) বাতাবিলেবুর বনে
    উত্তর – (গ) অর্জুন-সুন্দরীর বনে 
  13. চিতাবাঘিনীর তাড়া খাওয়া হরিণটি ছিল — 
    (ক) সজীব সতেজ
    (খ) সতেজ বাদামি
    (গ) সুন্দর বাদামি 
    (ঘ) সুন্দর সতেজ
    উত্তর – (গ) সুন্দর বাদামি   
  14. “সূর্যের আলোয় তার রং”— কার রঙের কথা বলা হয়েছে ? 
    (ক) হরিণের 
    (খ) বাঘিনীর   
    (গ) জলের
    (ঘ) আগুনের
    উত্তর – (ঘ) আগুনের
  15. “সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর।”— তা কী রঙের মতো হয়ে গেছে ? 
    (ক) শুকনো পাতার ধূসর ইচ্ছার মতো
    (খ) কচি বাতাবি লেবুর মতো   
    (গ) রোগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো 
    (ঘ) নীল আকাশের মরা চাঁদের আলোর মতো
    উত্তর – (গ) রোগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো 
  16. “সারারাত _______________ আগুন জ্বেলেছে — “
    (ক) রাস্তায় 
    (খ) বনে   
    (গ) মাঠে 
    (ঘ) নদীর ধারে
    উত্তর – (গ) মাঠে 
  17. নদীর ঢেউ ছিল –
    (ক) তীক্ষ্ণ শীতল
    (খ) হিম কুঞ্চিত
    (গ) হিম শীতল
    (ঘ) ধারালো শীতল
    উত্তর – (ক) তীক্ষ্ণ শীতল
  18. বন্দুকগুলো ছিল –
    (ক) এলোমেলো    
    (খ) সাজানো 
    (গ) বিকল 
    (ঘ) উজ্জ্বল
    উত্তর – (ক) এলোমেলো   
  19. বন ও আকাশ ঝিলমিল করছে – 
    (ক) সবুজ ঘাসের মতো 
    (খ) ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো   
    (গ) ভোরের আলোর মতো 
    (ঘ) টলমল শিশিরের মতো
    উত্তর – (খ) ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো     
  20. দেশোয়ালিরা যে আগুন জ্বেলেছিল তার রং – 
    (ক) মোরগফুলের মতো লাল 
    (খ) মচকাফুলের মতো লাল 
    (গ) কুসুমের মতো লাল
    (ঘ) রক্তের মতো লাল
    উত্তর – (ক) মোরগফুলের মতো লাল 
  21. “সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে”– সবুজ সুগন্ধী ঘাস কীসের মতো ?
    (ক) মেহগনি পাতার মতো 
    (খ) পেয়ারা পাতার মতো
    (গ) কচি বাতাবি লেবুর মতো
    (ঘ) টিয়ার পালকের মতো 
    উত্তর – (গ) কচি বাতাবি লেবুর মতো
  22. দেশোয়ালিরা মাঠে আগুন জ্বেলেছিল – 
    (ক) হরিণের মাংস রান্নার জন্য 
    (খ) শরীর উম্ রাখার জন্য   
    (গ) জীবজন্তুর আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য 
    (ঘ) শুকনো পাতা পোড়ানোর জন্য
    উত্তর – (খ) শরীর উম্ রাখার জন্য    
  23. ‘শিকার’ কবিতাটি যে কালের – 
    (ক) শরৎকাল 
    (খ) হেমন্তকাল 
    (গ) শীতকাল
    (ঘ) বসন্তকাল
    উত্তর – (খ) হেমন্তকাল 
  24. “ভোর;/আকাশের রং…” – ‘শিকার’ কবিতায় আকাশের রং –
    (ক) গঙ্গাফরিঙের দেহের মতো কোমল নীল
    (খ) ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল
    (গ) প্রজাপতির দেহের মতো কোমল নীল
    (ঘ) টিয়াপাখির দেহের মতো কোমল নীল
    উত্তর – (খ) ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল
  25. “টিয়ার পালকের মতো সবুজ।” – সবুজ রংটি হল —
    (ক) পেয়ারা ও নোনা গাছের
    (খ) কলা গাছের 
    (গ) বাতাবি লেবুর 
    (ঘ) ঘাসের
    উত্তর – (ক) পেয়ারা ও নোনা গাছের
  26. “হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে”-
    (ক) গান করেছে
    (খ) নাচ করেছে
    (গ) খেলায় মেতেছে
    (ঘ) আগুন জ্বেলেছে
    উত্তর – (ঘ) আগুন জ্বেলেছে

HS Bengali Suggestion 2023 – শিকার (কবিতা)প্রশ্ন উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর [মান ১]

1.“এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে।”—তার আগে সে কোন্ পরিবেশে ছিল?
Answer :ভোরের আলোয় আসার আগে হরিণটি চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নক্ষত্রহীন রাতে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে বনে ঘুরে বেড়িয়েছিল |

2.“একটা অদ্ভুত শব্দ’– শব্দকে ‘অদ্ভুত’ বলার কারণ কী ?

Answer : প্রাকৃতিক অরণ্য পরিবেশে বিসদৃশ বেমানান বন্দুকের গুলির শব্দকে এখানে ‘অদ্ভুত’ বলা হয়েছে। বনের মধ্যে বন্যেরাই যেখানে সুন্দর সেখানে বন্দুকের গুলির শব্দ নৃশংসতার পরিচয়বাহী বলেই তা অদ্ভুত।

3.“আগুন জ্বলল আবার”– কেমন আগুন, কখন জ্বলেছিল ?

Answer : হিমের রাতে শরীর ‘উম’ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা সারা রাত আগুন জ্বালিয়েছিল। সে আগুন ছিল মোরগফুলের মতো লাল।

4.“রোগা শালিকের হদয়ের বিবর্ণ” ইচ্ছা বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

Answer : দেশোয়ালিদের প্রজ্বলিত আগুন ভোরের আলোয় ক্রমশ বিবর্ণ হয়ে আসছে। মুমূর্ষ ও অসুস্থ শালিক পাখির শীর্ণকায় চেহারা এবং তার নৈরাশ্যের মতোই বিবর্ণ।

5.“নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল”– সে কেন নেমেছিল ?

Answer : সুন্দর বাদামি হরিণ ঘুমহীন ক্লান্ত শরীরকে আবেশ দেওয়ার জন্য নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল।

6.“এখনও আগুন জ্বলছে তাদের ;” কারা, কেন আগুন জ্বালিয়েছে?

Answer : দেশোয়ালিরা শীতের রাতে শরীর উয় রাখার জন্য সারারাত মাঠে আগুন জ্বালিয়েছে।

7.নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল কেন?
Answer :হরিণটি নদীর শীতল জলে শরীরটাকে আবেশ দিয়ে অবগাহন করেছিল। সেই সময় তাকে গুলি করে মেরেছিল কিছু লোভী আগ্রাসী মানুষ। এর ফলে নদীর জল লাল হয়েছিল।

8.এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল!” কে, কেন ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল?

Answer : সুন্দর বাদামি হরিণ অরণ্য প্রকৃতিতে চিতাবাঘিনীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভোরের অপেক্ষায় ছিল।

9.“সূর্যের আলোয় তার রং কুকুমের মতো নেই আর।”—কার রঙের কথা বলা হয়েছে?
Answer : দেশোয়ালিরা হিমের রাতে শরীর গরম রাখার জন্য আগুন জ্বেলেছিল| সূর্য উঠলে সেই আগুনের রং কুমকুমের মতো লাল ছিল না।

10.“তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।” একটি তারা আকাশে কীসের মতো জ্বলছে?

Answer : হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে মুক্তা কবির নীল মদের গ্লাসে রেখেছিল, ঠিক সেভাবে একটি তারা এখনো আকাশে জ্বলছে।

11.“সোনার বর্ষার মতো জেগে ওঠে”– জেগে উঠে কে, কী করতে চেয়েছিল?

Answer : ভোরের নতুন সূর্যের আলোয় হরিণটা সোনার বর্ষার মতো জেগে ওঠে ‘সাহসে সাধে সৌন্দর্যে একের পর এক হরিণীকে চমক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল।

12.“মোরগফুলের মত লাল আগুন”—কখন, কেন এই আগুন দেশোয়ালিরা জ্বালিয়েছিল?
Answer :হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ রাখার জন্য দেশোয়ালিরা আগুন জ্বেলেছে |

13.ভোরের আকাশের তারার জন্য কবি কোন কোন উপমা ব্যবহার করেছেন?

Answer : পল্লিগ্রামের লজ্জাশীলা বাসরঘরের ‘গোধূলি-মদির’ মেয়েটির কুণ্ঠার সঙ্গে নীল মদের গ্লাসে রাখা হাজার হাজার বছর আগে মিশর-মানুষীর বুকের মুক্তার দ্যতিহীনতার তুলনা করা হয়েছে।

14.হরিণের শরীরটা ঘুমহীন ক্লান্ত বিহুল ছিল কেন?

Answer : সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে হরিণটা বন থেকে বনান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছে। সারারাত পরিশ্রমের কারণে হরিণের শরীরটা ‘ঘুমহীন ক্লান্ত বিহুল’।

15.“নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম” বলতে কী বোঝানো হয়েছে ?

Answer : হরিণটা বন্দুকের গুলিতে প্রাণ হারানোর পর তার নিথর দেহটাকে বোঝানোর জন্য ‘নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম’ উপমা ব্যবহৃত হয়েছে।

16.‘সুন্দর বাদামী হরিণ’ চিতাবাঘিনীর হাত থেকে বাঁচতে কোন কোন বনে ঘুরেছিল?

Answer : সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে নক্ষত্রহীন মেহগনির বনের মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে বেড়িয়েছিল হরিণটা।

17.“সিগারেটের ধোঁয়া”—কোথায় কেন “সিগারেটের ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল?
Answer : কিছু আগ্রাসী মানুষ হরিণ মেরে তার মাংসভোজে মত্ত হয়ে উঠেছিল। জঙ্গলে তারাই আনন্দ উপভোগের সময় সিগারেট ধরিয়েছিল |
18.সকালের আলোয় বন ও আকাশের দৃশ্য কেমন ছিল?
Answer : সকালের আলোয় টলমলে শিশিরে চারদিকের বন ও আকাশ ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছিল |
19.“টেরিকাটা কয়েকটি মানুষের মাথা।”—কোথায় এই মানুষগুলোর মাথা দেখা গিয়েছিল?
Answer :হরিণটিকে হত্যা করার পর তার মাংস তৈরি হলে আগ্রাসী মানুষেরা তাকে ঘিরে উল্লাসে মেতে উঠেছিল। এখানেই টেরিকাটা এই মানুষগুলোর মাথা দেখা গিয়েছিল।
20.দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুন সূর্যের আলোয় কেমন বর্ণ ধারণ করেছিল?
Answer : সূর্যের আলোয় দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুন রোগা শালিকের হৃদয়ের ইচ্ছার মতো বিবর্ণরূপ ধারণ করেছিল।

21.কবির গেলাসে কে মুক্তা রেখেছিল?
Answer : কবির গেলাসে মুক্তা রেখেছিল ‘মিশরের মানুষী’।
22.“এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে।”—কে, কী কারণে ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল?
Answer :‘শিকার’ কবিতায় বর্ণিত চিতাবাঘিনীর তাড়া খাওয়া হরিণটি জীবনকে ভালোবেসে মুক্তির উল্লাসে ভোরের আলোয় নেমে এসেছিল।
23.পেয়ারা ও নোনার গাছের রং কী ছিল?
Answer : পেয়ারা ও নোনার গাছের রং ছিল টিয়ার পালকের মতো সবুজ।
24.“টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা।”— মানুষগুলির পরিচয় দাও।
Answer : এই মানুষগুলি প্রকৃতির সন্তান হরিণটিকে গুলি করে হত্যা করে তার মাংসভক্ষণে প্রবৃত্ত হয়েছিল। এরা প্রকৃতি ধ্বংসকারী আগ্রাসী মানুষ।
25.আলোচ্য কবিতার ভোরবেলাকার দৃশ্যরূপটি কীরকম?
Answer : ভোরবেলা রাত্রি ও দিনের সন্ধিক্ষণ, কবির দৃষ্টিতে যেন আকাশের কোমল নীল ও বনের সবুজ অংশে প্রভাতের সূর্যের আলো শিশিরভেজা স্নিগ্ধতায় চতুর্দিক ভরিয়ে তুলেছে।
26.“একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে”—কখন একমাত্র তারাটি আকাশে দেদীপ্যমান?
Answer :ভোরের কুয়াশাভরা শীতের আকাশে একটি ধ্রুবতারা পূর্বদিগন্তে সূর্যকে আবাহন করতেই যেন উজ্জ্বলভাবে দেদীপ্যমান।
27.‘শিকার’ কবিতাটিতে ‘গোধূলিমদির’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Answer :সূর্যাস্তের সময়কে ‘গোধুলি’ বলা হয়। যখন সূর্য ডুবে রাত্রির অন্ধকার ধীরে ধীরে পৃথিবীর বুকে নেমে আসে তখনকার মাদকতাময় রূপলাবণ্য বোঝাতে ‘গোধূলিমদির’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।
28.“একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে”–তারাটিকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
Answer :ভোরবেলাকার ওই তারাটিকে কবি পাড়াগ্রামের বাসরঘরে জাগা কনের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যার বুকে শুধুই ভালোবাসার অনুরাগের পাপড়ি সাজানো। আবার, উক্ত তারাটি যেন মিশরের কোনো এক মানুষী, তার আলো যেন আকাশের নীল আর উষার লাল রং মিশে নীল মদের গেলাসে মুক্তা হয়ে ঝরে পড়ছে।
29.‘উম্’ কথাটির অর্থ কী?
Answer :‘উম্’ কথাটির অর্থ উন্নতা বা গরম। ‘শিকার’ কবিতার শিকারি দেশোয়ালিরা শীতের রাতে প্রচণ্ড ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য শরীরকে ‘উম্’ করে রাখতে চায়।
30.হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ করে রাখার জন্য দেশোয়ালিরা কী করে?
Answer :বনভূমিতে হিম বা শীতের কাতরতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালায়। শুকনো অশ্বত্থপাতাকে দুমড়ে মুচড়ে প্রকৃতির স্বাভাবিকতাকে নষ্ট করে আগুন জ্বালে, যে আগুন মোরগফুলের মতো টকটকে লাল।
31.চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে কে কীভাবে নিজেকে বাঁচায় ?
Answer :একটি বাদামি রঙের হরিণ সারারাত নক্ষত্রহীন আকাশের নীচে অন্ধকারে এ গাছ থেকে ও গাছের আড়ালে লুকিয়ে চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচায়। যৌবনাবেগে তরতাজা হরিণটি জানে দিনের আলোয় সে স্বচ্ছন্দে বনভূমিতে পদচারণা করতে পারবে।
32.সুন্দর বাদামি হরিণটি কোন্ সময়ের জন্য অপেক্ষা করছিল?
Answer :সুন্দর বাদামি হরিণটি ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।
33.কবির মতে হরিণটির কাছে অন্ধকারের রূপটি কেমন ছিল?
Answer :কবির মতে হরিণটির কাছে অন্ধকারের রূপটি ছিল হিম কুতি জরায়ুর মতো।
34.“শরীরটাকে স্রোতের মতো একটা আবেগ দেওয়ার জন্য”—হরিণটির শরীরটা তখন কেমন ছিল?
Answer :হরিণটির শরীরটা তখন ছিল ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল।
35.সুন্দর বাদামি হরিণটি দিনের আলোয় কীভাবে নিজেকে মেলে ধরে?
Answer :‘শিকার’ কবিতার সুন্দর বাদামি হরিণটি চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করে ভোরের আলোয় হাজির হয়। নতুন করে বেঁচে থাকার স্পৃহায় কচি বাতাবিলেবুর সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়। এর মধ্যে তার প্রাণের আরাম মনের উল্লাস যেন প্রতিভাত হয়ে ওঠে।
36.হরিণের নবজন্ম কখন ঘটল বলে কবি মনে করেছেন?
Answer :সারারাত চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে বাঁচার প্রচেষ্টায় বনের চারদিকে লুকিয়ে থেকে ভোরের আলোয় সুগন্ধি কচিঘাস খেতে খেতে হরিণটি প্রকাশ্যে আসে। নতুন জীবনের আনন্দে তার নদীর সুশীতল জলে স্নান করার উল্লাসটিই যেন নবজন্মরূপে ধরা দিয়েছে।
37.হরিণীর পর হরিণীদের কীভাবে হরিণটি চমকে দেবে?
Answer :ভোরের আলোয় অর্থাৎ সূর্য কিরণে স্নাত হয়ে নদীর জলে ধৌত করে মুক্তির আনন্দে হরিণটির দেহবল্পরি প্রভাতের আলোয় সোনার বর্শার ফলকের মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে—যা দেখে বনভূমির হরিণীরা চমকে উল্লসিত হয়ে উঠবে। সাহসে, সাধে আর সৌন্দর্যে হরিণটি হরিণীদেরকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে তুলবে।

HS Bengali Suggestion 2023 – শিকার (কবিতা)প্রশ্ন উত্তর – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩ – রচনাধর্মী বড়ো প্রশ্নোত্তর [মান ৫]

1.“আগুন জ্বলল আবার” —প্রথমবার আগুন জ্বলার সঙ্গে দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলার বৈপরীত্যটি তুলে ধরো।

Answer: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় প্রথমবার আগুন জ্বালানোর বিষয়টি উল্লেখ করা হয় শীতের কাতরতায় উষ্মতা পাওয়ার জন্য। এখানে বনের শুকনো পাতা জ্বালিয়ে দেশোয়ালিদের শরীর উত্তপ্ত করার উদ্দেশ্যটিই লক্ষিত হয়। তাই

তারা —

                                                                                     “আগুন জ্বেলেছে—

                                                                            মোরগফুলের মতো লাল আগুন;

শুকনো অশ্বত্থপাতা দুমড়ে এখনও আগুন জ্বলছে তাদের;” দেশোয়ালিদের দ্বারা প্রজ্বলিত আগুনে প্রাণ বাঁচানোর প্রচেষ্টাই প্রধান, সে আগুন ধবংসের বীভৎসতাকে নির্দেশ করে না। বনভূমির স্বাভাবিক সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রেখে সে আগুন জীবন বাঁচানোর উয় অনুভব দানে সক্ষম। তবে আগুনের ভয়ংকর রূপটির আভাসও কবিতার অন্তিম পর্বে দ্বিতীয়বার আগুন জ্বালানোর দৃশ্যটির মধ্য দিয়ে প্রকটিত হয়ে পড়েছে। যেখানে কিছু শিকারি প্রবৃত্তির মানুষের নৃশংসতা চরিতার্থ করতে আগুনের ভূমিকা অন্যতম। এই আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয় একটি নিরীহ হরিণের নিথর দেহ, সে পরিণত হয় উয় লাল মাংসে।

“আগুন জ্বলল আবার উয় লাল হরিণের মাংস তৈরি হয়ে এল।” আর সেই সুস্বাদু মাংসের স্বাদ গ্রহণে টেরিকাটা কয়েকটি শিকারি মানুষের রসনার তৃপ্তি ঘটল। তাই বলা যায়, প্রথমবার যে আগুন প্রজ্বলিত হয় তা শীতের হাত থেকে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে কিন্তু দ্বিতীয়বার প্রজ্বলিত সেই আগুন মানুষের সীমাহীন লোভের বাস্তব প্রতিমূর্তি।

2.“একটা অদ্ভুত শব্দ। / নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল।” – শব্দটা কীসের এবং কেন তার জন্য নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে ওঠে?

Answer: সারারাত ধরে চিতাবাঘিনির আক্রমণ থেকে নিজেকে শত চেষ্টায় রক্ষা করে সুন্দর বাদামি হরিণটি প্রভাতের আলোয় নিশ্চিন্তে, নিরুপদ্রবে প্রাণের স্ফূর্তিতে নদীর জলে স্নান করতে নামে। তখনই ভয়ংকর প্রাণঘাতী একটা অদ্ভুত শব্দে বনপথের নিস্তব্ধতা ভেঙে ফেলে হরিণের জীবন কেড়ে নেয় শিকারির দল। হরিণ বুঝতেই পারেনি যে বনের জতুজানোয়ার অপেক্ষা মানুষের হিংস্রতা কম নয়। অদ্ভুত শব্দটি তাদের বন্দুকের গুলির শব্দ।

আর সেই গুলির আঘাতে সুন্দর বাদামি হরিণটির জীবনে নেমে আসে চরমতম বিপর্যয়। প্রভাতের আলো তাকে নিশ্চিন্ত জীবনে ফেরাতে পারে না, বরং সেই আলোই তাকে বধ্যভূমির দিকে ঠেলে দেয়। চিতাবাঘিনির জান্তবতাকে অতিক্রম করতে পারলেও, অরণ্যের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলেও, জনারণ্যে তার জীবনসংশয় হয়। মানুষ জন্তু না হলেও প্রাণঘাতী শিকারি। হরিণের রক্তে নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো রক্তিম হয়ে ওঠে। হরিণকে গুলিবিদ্ধ করে তার মাংস রান্নার জন্য আবারও আগুন জ্বলে বনের বুকে। লাল আগুন আর উয় লাল হরিণের মাংস মিলেমিশে একাকার। নীল আকাশের নীচে সকালের রোদ পড়া বিমর্ষ ঘাসের উপর শুয়ে সময় কাটানোর গল্পের আমেজ ভেঙে একদল শিকারি প্রবৃত্তির মানুষ উৎসবে মত্ত হয়ে ওঠে। সুন্দর প্রকৃতির সুন্দর জীবের অপমৃত্যু ঘটে, মাংসাশী মানুষের নাগরিক জীবনের ক্লেদ-গ্লানিতে অরণ্য থমকে দাঁড়ায়। সারা বনপথে চূড়ান্ত অবক্ষয়ের পরিণাম ঘনিয়ে আসে

                                                                      “সিগারেটের ধোঁয়া;

                                                                      টেরিকাটা কয়েকটা মানুষের মাথা;

                                                        এলোমেলো কয়েকটা বন্দুক–হিম— নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।”

সভ্যতা ধ্বংসকারী একদল শিকারির জান্তব উল্লাস ও অপরিণামদর্শিতায় প্রকৃতির বুকে নামে এক ভোরের অপমৃত্যু ও এক হরিণের সকরুণ বিধিলিপি। যা কেবল নদীর জলরাশিকেই রক্তাক্ত করে না, তা সৌন্দর্য, মানবিকতা সবকিছুকে ক্ষতবিক্ষত করে দগ্ধ করে তোলে।

3.‘শিকার’ কবিতা আসলে কবির মনোজগতের প্রতিফলন–কবিতাটি বিশ্লেষণ করে বুঝিয়ে দাও।

Answer: ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থের ‘শিকার’ কবিতায় স্থান এবং কাল-নির্দিষ্ট অবস্থানে কবি নিজের উপস্থিতিকে জাগ্রত করেছেন। হিংসা, বীভৎসতা নগরজীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে, তাই বনভূমির উদাত্ত প্রান্তরে ভোরের সোনালি মুহূর্তে হরিণের আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে কবির আনন্দ-উল্লাস মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। আকাশের প্রজ্বলিত তারার মতো কবিমনও আনন্দে উদ্‌বেল। জীবনের তিমির বিনাশ করে ভোরের আলোয় নিজেকে পরখ করে নিতে প্রস্তুত। ‘শিকার’ কবিতায় হরিণের মৃত্যু হল প্রেমের, আর তার সঙ্গে আস্থা-বিশ্বাসেরও অপমৃত্যু। হরিণের প্রতীকী মৃত্যু কবির সমগ্র সাকে আন্দোলিত করে। কবি ‘ক্যাম্পে’ কবিতায় বলেছেন— “বসন্তের জ্যোৎস্নায় ওই মৃত মৃগদের মতো

আমরা সবাই।” মৃগদের বুকের আতঙ্ক আমাদের সকলের। ভোরের নির্মল আকাশের তলে সবুজ বনরাজির বুকে ঘটে চলেছে অকস্মাৎ মৃত্যুর উৎসব। এসব দেখে কবিমন আতঙ্কিত। জীবনানন্দের কাব্য সমালোচক তরুণ মুখোপাধ্যায় যথার্থই বলেছেন— “প্রকৃতি জুড়ে যখন বর্ণরাগ, হরিণের রূপের ভাষায় যখন বনভূমি ঝলমল করে ওঠে, তখনই নেপথ্যচারী শিকারির গুলির আঘাত কি নিষ্ঠুর কৌতুক? মৃত্যুর উৎসব?” কবি জীবনানন্দ দাশের চেতনার অলিন্দে এই মৃত্যু উত্তীর্ণ জীবনবোধ, দ্বন্দ্ব ও বাস্তবতা নির্ণীত অভিমুখটি ‘শিকার’ কবিতার ছত্রে ছত্রে ব্যঞ্জিত হয়ে উঠেছে। হরিণের দূরস্ত জীবনসংগ্রাম, জলে অবগাহন তার বিস্তীর্ণ উল্লাসের মধ্যে প্রস্ফুটিত হয়েছে। যদিও কবিতার পরিণতি সমাজব্যবস্থার অবক্ষয়কেই প্রত্যয়িত করে। প্রখ্যাত সমালোচক অনুরাধা ঘোষের মতে, “মৃত্যুকে পরাভূত করে জীবনের জয়, এ কথা তো জীবনানন্দও বলেছেন। কিন্তু সে কোন্ জীবন? ‘জীবনের পারে থেকে যে দেখেছে মৃত্যুর ওপার তার অন্তর্জীবন তো দীপ্ত হয়ে থাকে অনন্তের বোধে, যতই সেখানে সঞ্ছিত হয়ে থাক দীর্ঘ যাত্রার ক্লিষ্টতা ও ক্লান্তি।”–এ কথা তো জীবনানন্দ দাশ সম্পর্কেই একমাত্র প্রযোজ্য।

4.নাগরিক লালসায় নীল অমলিন প্রকৃতির মাঝে পবিত্র জীবন হারিয়ে যায় হিমশীতল মৃত্যুর আঁধারে— ‘শিকার’ কবিতাসূত্রে উদ্ধৃত অংশটির নিহিতার্থ লেখো।

Answer: নগরকেন্দ্রিক জীবনচিত্র প্রকৃতির শোভা থেকে বিচ্যুত। তাই নাগরিক জীবনে প্রকৃতির লাবণ্য বিশেষ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। ভোরের আকাশের নীলাভ রঙে যখন সমস্ত বনভূমি সেজে ওঠে তখন সেই নীলাভ আভার সবুজ বনে নাগরিক লালসা রক্তের দাগ লাগায়। তাই কবি বলেছেন—

                                                                       “সৃষ্টির বুকের পরে ব্যথা লেগে রবে

                                                                        শয়তানের সুন্দর কপালে

পাপের ছাপের মত সেই দিনও।” ‘শিকার’ কবিতাটিতেও সেই নাগরিক লালসার নৃশংসতায় প্রকৃতির মাঝে জীবনের অস্তিত্ব ম্রিয়মান হয়ে যাওয়ার রূপটি প্রকাশিত হয়েছে। লোভ-লালসা-ক্ষুধা-রিরংসা নিবৃত্তির নেশায় উন্মত্ত নাগরিক সভ্যতার তথাকথিত সভ্য মানুষগুলির শিকারি প্রবৃত্তির শিকার হয় বন্য প্রাণের প্রতীক হরিণ। কবিতায় সেই হরিণটির হিমশীতল মৃত্যুর আঁধারে নিমজ্জিত হওয়ার মধ্য দিয়ে নাগরিক লালসার ক্রূর রূপটি প্রকটিত হয়ে পড়ে। নতুন জীবনের খোঁজে নদীর তীক্ষ্ণ শীতল স্রোতে অবগাহন করে প্রাণের স্ফূর্তিতে মেতে ওঠা হরিণটির প্রাণ তার অজান্তেই কেড়ে নেয় নাগরিক সভ্যতার ধ্বজাধারী কিছু টেরিকাটা মানুষ। তাদের এলোমেলো বন্দুকের গুলির আঘাতে হরিণটির প্রাণস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে যায়, সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। যে নদীতে নেমে হরিণটি তার শরীরকে একটা আবেশ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল সেই নদীর জল তার রক্তেই ‘মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল’ হয়ে যায়। কিন্তু টেরিকাটা মানুষগুলির আশ তখনও মেটে না, তবে হরিণটি যখন ক্ষুধা নিবৃত্তির সামগ্রী রূপে উন্ন লাল মাংসে পরিণত হয় তখন তাদের সকল আকাঙ্ক্ষার পরিতৃপ্তি ঘটে।

5.“সুন্দর বাদামি হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল।”—হরিণটি কী কারণে ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিল? কবিতার অস্তিমে তার যে পরিণতির চিত্রটি ফুটে উঠেছে তা উল্লেখ করো। 

Answer: ‘শিকার’ কবিতার সুন্দর বাদামি রঙের হরিণটি রাতের অন্ধকারে হিংস্র চিতাবাঘিনির হাত থেকে প্রাণরক্ষার তাগিদে কখনও সুন্দরী গাছের বনে আবার কখনও অর্জুন গাছের বনের আড়ালে লুকিয়ে বেড়িয়েছে। আর তাই ভোরের আলোর আগমনে সে নবজীবন লাভ করে। মূলত, এই কারণেই সে ভোরের জন্য অপেক্ষারত ছিল।

‘শিকার’ কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি হরিণ ও তার নৃশংস মৃত্যু। যে হরিণটি বন্য প্রকৃতিতে প্রাণের উল্লাসে মেতে উঠেছিল, কবিতার অস্তিমে সেই হরিণটিরই পরিণতি নির্মম মৃত্যু। চর্যাপদের ‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’–এই কথাটির সার্থক দৃষ্টান্ত হল ‘শিকার’ কবিতার হরিণটির পরিণতি দৃশ্য। রাতের অন্ধকারে হিংস্র চিতাবাঘিনির থাবার গ্রাস থেকে সে রেহাই পেলেও ভোরের প্রকৃতির শোভা তার ট্র্যাজিক পরিণতিকে সূচিত করে। প্রকৃতির অপরিসীম লাবণ্যমাখা পরিবেশে একদল মানুষের জান্তব উল্লাসের শিকার হয় হরিণটি। আসলে শিকারি প্রবৃত্তির মানুষগুলির কাছে হরিণটি ছিল শুধু রসনা তৃপ্তির সামগ্রী মাত্র। এই শিকারি মানুষগুলির লোভ = রিরংসা ও লালসা জান্তব হিংস্রতার থেকেও হিংস্র। তাদের মারণাস্ত্র অর্থাৎ বন্দুকের গুলির আঘাতে হরিণটি তার নিজের অজান্তেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। তার শরীর নদীর স্রোতের তীক্ষ্ণ শীতলতাকে আর অনুভব করতে পারেনি। তবে নদীর জল তার শরীরের রক্তিম স্পর্শকে অনুভব করতে সক্ষম হয়েছিল। বস্তুত, জীবন্ত হরিণটি বন্য প্রকৃতির শোভা বর্ধন করলেও সে শিকারি মানুষগুলির আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করতে পারেনি। তাই মৃত হরিণটির নিথর দেহটি যখন উয় লাল মাংসে পরিণত হয় তখন শিকারি মানুষগুলির আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হয় অর্থাৎ তাদের রসনার তৃপ্তি ঘটে।

6.“মোরগফুলের মতো লাল আগুন”–কোথাকার কোন্ আগুনের কথা এখানে বলা হয়েছে? উদ্ধৃতিটির মর্মার্থ বিশ্লেষণ করো।

Answer:  ‘শিকার’ কবিতাটি জীবনানন্দের আপন মনের মাধুরী মেশানো জীবন্ত এক দলিল। কোনো এক শীতের রাতে বনের মধ্যে যাদের তিনি ‘দেশোয়ালি’ বলে উল্লেখ করেছেন তারা শীতের প্রকোপ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য আগুনের তাপ নিচ্ছেন। শরীর ‘উম’ করার জন্য সেই তাপের কথাই এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যে আগুন মোরগফুলের মতো লাল টকটকে।

বনের দেশোয়ালিরা শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে বনের শুকনো অশ্বত্থপাতা কুড়িয়ে আগুন জ্বালায়। ‘হিমের রাতে শরীর উম্’ রাখতে জ্বলে ওঠে আগুন। সারারাত সেই আগুনের লেলিহান শিখার সঙ্গে মোরগফুলের রঙের সাযুজ্য খুঁজে পাওয়া যায়। শুকনো পাতা দুমড়ে মুচড়ে যে আগুন জ্বলে তা কামনার আগুনের প্রতিরূপ, লালসার উত্তাপের আঁচ বা দহন বলেই মনে হয়। দেশোয়ালিদের সারারাতের জ্বালা আগুনের মধ্যে কবি তাই ধ্বংসকে প্রত্যক্ষ করেছেন। কারণ, লাল আগুন বিশেষত প্রলয়ের, বিনষ্টির দ্যোতনা বহন করে নিয়ে আসে। বনভূমির নিস্তব্ধতা ভেঙে হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ অর্থাৎ গরম করার আমেজের মধ্যেই হরিণ শিকারের প্রসঙ্গটি রয়েছে। তা ছাড়া ভোরবেলার শিশিরভেজা ঘাসের উপর সূর্যের আভার বদলে আগুন জ্বালানোর মধ্যে একটা অস্বাভাবিকতার জন্ম হয়। কবিতার তৃতীয় স্তবকে দেশোয়ালিদের শুকনো পাতায় জ্বালা আগুনের তেজ এবং উত্তাপ প্রভাতের আলোয় ম্লান হতে থাকে। যে আগুন শরীর মনের উত্তাপ বাড়ায়, কাম-ক্রোধ-লোভ -লালসার জন্ম দেয়, সেই আগুন প্রকৃতির স্বাভাবিক সৌন্দর্যময়তাকেও বিবর্ণ করে তোলে—

                                                          “সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর;

                                                      হ’য়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।”

HS Bengali Suggestion 2023 –শিকার(জীবনানন্দ দাশ)কবিতা প্রশ্ন উত্তর

“HS Bengali Suggestion 2023 –শিকার(জীবনানন্দ দাশ) কবিতা প্রশ্ন উত্তর” একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক উচ্চমাধ্যমিক বাংলা (Hs Bengali Suggestion, Hs Bengali Suggestion 2023, Hs Bengali Suggestion 2023 all, Hs Bengali Suggestion 2023 answers, Hs Bengali Suggestion 2023 bangla, Hs Bengali Suggestion 2023 bengali, Hs Bengali Suggestion 2023 bengali pdf, Hs Bengali Suggestion 2023 board / Hs Bengali Suggestion 2023 class 12, Hs Bengali Suggestion 2023 in bengali ) পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে Studywithgenius.in  এর পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক  বাংলা  পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন  প্রদানের প্রচেষ্টা করা হলাে।

ছাত্রছাত্রী এবং পরীক্ষার্থীদের উপকারের জন্য, আমাদের প্রয়াস  উচ্চ মাধ্যমিক  বাংলা পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর এবং সাজেশন (Hs Bengali Suggestion, Hs Bengali Suggestion 2023, Hs Bengali Suggestion 2023 all, Hs Bengali Suggestion 2023 answers, Hs Bengali Suggestion 2023 bangla, Hs Bengali Suggestion 2023 bengali, Hs Bengali Suggestion 2023 bengali pdf) সফল হবে।
© studywithGenius.in

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই আমাদের Studywithgenius.in ওয়েবসাইটের পাশে থাকুন। সমস্ত বিষয়ে যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করুন এবং নিজেকে  তথ্য সমৃদ্ধ করে তুলুন , ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

X